Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

ভাঙছে চাঙড়, ছাদ চুঁইয়ে পড়া জলেই ক্লাস

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৪১ জন পডুয়ার ওই স্কুলে একতলায় পাশাপাশি তিনটি ঘরের একটিতে প্রাক-প্রাইমারি, প্রথম ও তৃতীয় শ্রেণির ক্লাস হয়। বাকি দু’টি ঘর স্যাঁতসেঁতে, আলো ঢোকে না।

এ ভাবেই চলে স্কুল। নিজস্ব চিত্র

এ ভাবেই চলে স্কুল। নিজস্ব চিত্র

প্রদীপ মুখোপাধ্যায়
আউশগ্রাম শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০১৭ ০১:১৯
Share: Save:

শ্রেণিকক্ষের সংখ্যা সাকুল্যে চারটি। তার মধ্যে দু’টি পরিত্যক্ত। বাকি দু’টিতে ক্লাস হয় ভাগাভাগি করে। এর মধ্যেও আবার একটি ঘরের অবস্থা বিপজ্জনক। পড়ুয়াদের অভিযোগ, ছাদ থেকে মাঝেমধ্যেই ভেঙে পড়ে চাঙড়। বৃষ্টিতে জল চুঁইয়ে পড়ে ভিজে যায় বই-খাতা। ফলে, বর্ষায় সব পড়ুয়াকে বাকি একটি ঘরে এনে ক্লাস করানো ছাড়া উপায় থাকে না আউশগ্রামের গঙ্গারামপুর হরিজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের। শ্রেণিকক্ষগুলি দ্রুত মেরামতির দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকেরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৪১ জন পডুয়ার ওই স্কুলে একতলায় পাশাপাশি তিনটি ঘরের একটিতে প্রাক-প্রাইমারি, প্রথম ও তৃতীয় শ্রেণির ক্লাস হয়। বাকি দু’টি ঘর স্যাঁতসেঁতে, আলো ঢোকে না। সেখানে ক্লাস করানো সম্ভব বলে দাবি শিক্ষকদেরই। ফলে ঘর দু’টি ব্যবহার হয় মিড-ডে মিলের সরঞ্জাম রাখার কাজে। পাশে সর্বশিক্ষা মিশনের টাকায় তৈরি দোতলা একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষে চলে দ্বিতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ক্লাস। অভিভাবকদের অভিযোগ, এক তলা ভবনটির সব ঘরগুলিই পড়াশোনার অযোগ্য। যে ঘরটিতে ক্লাস হয়, তার ছাদ থেকে চাঙড় ভেঙে পড়ে। সামান্য বৃষ্টিতেই দেওয়াল গড়িয়ে জল পড়ে। ফলে, বর্ষায় পাশে দোতলার ওই একটি ঘরই একমাত্র ভরসা।

তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র সুজিত দাস, বলরাম দাসের অভিযোগ, “বৃষ্টিতে ছাদ থেকে জল পড়ে। বই ভিজে যায়। কখন মাথায় ছাদ ভেঙে পড়ে, সব সময়ে এই ভয়ে থাকি!” প্রথম শ্রেণির ছাত্রী অন্তরা পণ্ডিতের মা মন্দিরাদেবীর প্রশ্ন, “ছেলেমেয়েদের কোনও আঘাত লাগলে তার দায়িত্ব কে নেবে?” সমাপ্তি দাস, শ্যামল দাসের মতো অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলটি নিরাপদ নয়। বিষয়টি শিক্ষকদের বার বার জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি।

স্কুলের বিপজ্জনক দশার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা স্থানীয় উক্তা পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য তারাপদ দাস। তাঁর দাবি, প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে বিডিওকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। একই দাবি প্রধান শিক্ষক শুভঙ্কর চট্টোপাধ্যায়ের। আউশগ্রাম ১-র বিডিও চিত্তজিৎ বসু দ্রুত স্কুলের ঘরগুলি মেরামতির আশ্বাস দিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE