E-Paper

পাখিদের কৃত্রিম বাসস্থান বানালেন পড়ুয়ারা

শহরে গাছের সংখ্যা কমছে। বাসস্থানের অভাবে সঙ্কটে পক্ষীকূল। ঝড়, বৃষ্টিতে পাখির বাসা ভেঙে যাওয়ায় অনেক সময়ে ডিম নষ্ট হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪ ০৯:০৫
পাখিদের জন্য গাছে হাঁড়ি বাঁধা।

পাখিদের জন্য গাছে হাঁড়ি বাঁধা। নিজস্ব চিত্র।

পাখি বাঁচাতে উদ্যোগী হয়েছেন গুসকরা কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের পড়ুয়ারা। কলেজ চত্বরে থাকা গাছে পাখিদের জন্য কৃত্রিম বাসস্থান তৈরি করেছেন তাঁরা। সম্প্রতি সেই বাসাতেই ডিম পেড়েছে দু-তিনটি প্রজাতির পাখি। ডিম ফুটে ছানা হয়েছে কয়েকটি। পড়ুয়াদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ‘নাক’-এর পরিদর্শনকারী দলের সদস্যেরাও, দাবি কলেজ কর্তৃপক্ষের।

ওই পড়ুয়ারা জানান, শহরে গাছের সংখ্যা কমছে। বাসস্থানের অভাবে সঙ্কটে পক্ষীকূল। ঝড়, বৃষ্টিতে পাখির বাসা ভেঙে যাওয়ায় অনেক সময়ে ডিম নষ্ট হয়। অনেক সময় বড় পাখি বা কুকুর বেড়ালে পাখির ছানা খেয়ে নেয়। পাখির সংখ্যা ক্রমশ কমেছে। সে কারণেই এই উদ্যোগ। কলেজ চত্বরে থাকা বকুল, অশোক, পাম ট্রি সহ নানা গাছে মাটির ভাঁড়, কলসি টাঙিয়ে পাখিদের কৃত্রিম বাসস্থান করা হয়েছে। সেখানে চড়ুই, বুলবুলি, ঘুঘু, ডাহুক, শালিক পাখির মতো নানা প্রজাতির পাখি আশ্রয় নিয়েছে।

পড়ুয়ারা জানান, বাসস্থান তৈরিতে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে। মাটির ছোট কলসিতে ছোট ছোট ফুটো করা হয়েছে। গাছের বর্ণের রং কলসিতে লেপে সেগুলি টাঙানো হয়েছে গাছে। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য সেগুলির ভিতরে খড় বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাখিরা যাতে প্রকৃতির সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রেখে বাঁচতে পারে, তার জন্য জল বা খাবার দেওয়া হয় না। আপাতত ১৫টি গাছে এ রকম ৪৫টি বাসস্থান তৈরি করা হয়েছে। এমন আরও বাসস্থান তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

কলেজের অধ্যক্ষ সুদীপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আগে কলেজ চত্বরে থাকা গাছে পাখিরা আসত। কিন্তু সেগুলি থাকত না। প্রাণীবিদ্যা বিভাগের শিক্ষকদের তত্বাবধানে পড়ুয়ারা নিজেদের হাতে পাখিদের জন্য বাসা বানিয়েছে। ওই কৃত্রিম বাসস্থানগুলিতে দু–তিনটি প্রজাতির পাখি ডিম পেড়েছে। সেই ডিম ফুটে বাচ্ছা বেরিয়েছে। এটা আমাদের কাছে খুবই আনন্দের। ভবিষ্যতে পরিযায়ী পাখিদের জন্য কিছু করার পরিকল্পনা রয়েছে।”

ছাতা বিলি

দুর্গাপুর: একটি ক্লাবের পক্ষ থেকে রবিবার দুর্গাপুরের গান্ধী মোড় ওভারব্রিজের নীচে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত সিভিক ভলান্টিয়ারদের ছাতা ও বর্ষাতি দেওয়া হয়।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Guskara Zoology

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy