শুধু বিদ্যালয় চত্বর পরিচ্ছন্ন রাখলেই হবে না, পড়ুয়াদের বাড়িতেও শৌচাগার থাকতে হবে— ব্লক কার্যালয়ে নির্মল বাংলা নিয়ে আলোচনাসভায় গিয়ে এমনটাই মনে হয়েছিল গোয়াই অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের। যেমন ভাবা তেমন কাজ। স্কুলে খোঁজ নিয়ে ওই শিক্ষক, কৌশিক দে জানতে পারেন ছাত্রদের একাংশ মাঠেঘাটে শৌচকর্ম করতে যায়। পরের দিনই পড়ুয়াদের বাড়িতে শৌচাগার নির্মাণের আবেদন জানিয়ে মহকুমাশাসককে চিঠি দেন তিনি। শিক্ষকদের উদ্যোগে সামিল এখন স্কুলের পড়ুয়ারাও।
খোলা জায়গায় শৌচকর্ম বন্ধ করতে জেলা জুড়েই নানা কর্মসূচি নিয়েছে প্রশাসন। তার মধ্যেই নজরে এসেছে কাটোয়া ১ ব্লকের গোয়াই পঞ্চায়েত। তফসিলি অধ্যুষিত এলাকার অধিকাংশ পরিবারে ভোরের আলো ফুটলে মাঠে ছোটাই অভ্যেস। বাড়ির বড়দের দেখে ছোটরাও ঝোপেঝাড়েই যায়। সেই অভ্যেসে বদল আনতেই উদ্যোগী হয়েছেন ওই শিক্ষক। কৌশিকবাবু বলেন, ‘‘ওই সভায় বিষয়টি মাথায় আসার পরে ছাত্রদের জিজ্ঞেস করে জানলাম ৮৬ জনের মধ্যে ২৫ জনের বাড়িতেই শৌচাগার নেই। স্কুলে শৌচাগার ব্যবহার করলেও বাড়িতে মাঠে-ঘাটেই যায় ওরা। ব্যবস্থা বদলাতে কয়েকদিন আগে মহকুমাশাসকের কাছে আবেদন করি।’’
দ্বিতীয় শ্রেণির গোপাল মাঝি, চতুর্থ শ্রেণির সপ্তমী প্রধানরাও বলে, ‘‘খোলা স্থানে শৌচকর্ম করা অস্বাস্থ্যকর তা স্যার আমাদের বুঝিয়েছেন। আমরা চাই স্কুলের মতো বাড়িতেও শৌচাগার থাকুক।’’ স্কুলের দুই মিড-ডে মিল রাঁধুনির বাড়িতেও শৌচাগার নেই। সরকারি সাহায্য পেলে শৌচাগার নির্মাণের কথা জানিয়েছেন তাঁরাও। মহকুমাশাসক খুরশিদ কাদরি জানান, বিডিওকে বিষয়টি দেখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কৃতী সংবর্ধনা। প্রয়াত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী কান্তি বিশ্বাসের স্মরণে রবিবার কাটোয়ার রবীন্দ্র পরিষদে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ১৭১ পড়ুয়াকে সংবর্ধনা দিল এসএফআই, ডিওয়াইএফ ও এবিটিএ। ছিলেন এসএফআইয়ের জেলা কমিটির সম্পাদক দীপঙ্কর দে, এবিটিএ-র জেলা সম্পাদক সুদীপ্ত গুপ্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy