গরু পাচারকারী সন্দেহে কয়েক জনকে বেঁধে রেখে হেনস্থা, মারধরের অভিযোগে বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য কমিটির সদস্য দুর্গাপুরের পারিজাত গঙ্গোপাধ্যায় ও তাঁর কয়েক জন সঙ্গীকে ধরেছিল পুলিশ। তাঁরা এখন জামিনে মুক্ত। গোড়ায় বিজেপি নেতৃত্ব প্রকাশ্যে পারিজাতের সঙ্গে না থাকলেও, এ বার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ পাশে দাঁড়িয়েছেন পারিজাতের। কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার একটি দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করতে দুর্গাপুরে যান শুভেন্দু। প্রায় এক কিলোমিটার মোটরবাইক মিছিল করে তাঁকে মণ্ডপে নিয়ে যান পারিজাত ও তাঁর সঙ্গীরা। শুভেন্দু সে রাতে যান পারিজাতের বাড়িতে। তিনি বলেন, “আমি পরিবারের সবার সঙ্গে দেখা করেছি। চা খেয়েছি। আশ্বস্ত করেছি।” শুক্রবার দুর্গাপুরে রাজীব গান্ধী স্মারক ময়দানে প্রাতর্ভ্রমণে দিলীপ ঘোষের সঙ্গী হন পারিজাত। কালীগঞ্জ মোড়ে চা-চক্রেও যান। দিলীপ বলেন, “কিছু লড়াকু গোভক্ত যুবক বেআইনি গরু পাচার রুখেছিলেন বলে পুলিশ তাঁদের মামলা দিয়ে জেলে ঢুকিয়েছিল। তাঁদের সঙ্গে দেখা করে সম্মান জানিয়েছি।”
৩১ জুলাই বাঁকুড়ার বড়জোড়ার হাট থেকে থেকে গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছিলেন কয়েক জন। পথে দুর্গাপুরের কোকআভেন থানা এলাকায় তাঁদের হেনস্থা ও মারধর করে গরুগুলিকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পারিজাত ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। থানায় অভিযোগ করেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। এ দিন নরেন্দ্রনাথ বলেন, “বিজেপি তখন বলেছিল, ওটা ন্যক্কারজনক ঘটনা। যে ভাবে কিছু গরু বিক্রেতাকে মারধর, ওঠবস করানো হয়, তা কখনই সভ্য মানুষের কাজ হতে পারে না।” তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসনের কটাক্ষ, “বিজেপির সংগঠন বলতে কিছু নেই। তাই সাম্প্রদায়িক অশান্তি ছাড়ানোয় অভিযুক্তদের আঁকড়ে বাঁচতে হচ্ছে।” যদিও পারিজাতের দাবি, “অন্যায় করিনি। বেআইনি ভাবে গরু নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদ করেছি। ভবিষ্যতে, এমন হলে ফের প্রতিবাদ জানাব।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)