শুধুমাত্র রাজপথে নয়, স্কুলেও চলছে প্রতিবাদ। তবে ক্লাস চালু রেখেই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপর ‘পুলিশি নির্যাতনের’ প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া কাশীশ্বরী বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকারা। ক্লাস চলছে, আবার স্কুলের গেটে প্ল্যাকার্ড হাতে বসে প্রতিবাদে শামিল হচ্ছেন একদল শিক্ষিকা।
কাটোয়া কাশীশ্বরী বালিকা বিদ্যালয়ে এক হাজার ছাত্রীর জন্য ২৩ জন স্থায়ী শিক্ষিকা, ৩ জন পার্শ্বশিক্ষিকা-সহ দু’জন চুক্তিভিত্তিক শিক্ষিকা আছেন। এই স্কুলের কোনও শিক্ষিকার চাকরি বাতিল না হলেও, এক জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। তবুও বাতিল হওয়া যোগ্য শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের সম্মানের সঙ্গে চাকরিতে বহাল করার দাবিতে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে স্কুল গেটের সামনে মহামায়া মণ্ডল নামে এক শিক্ষিকা প্রতিবাদ ও অবস্থানে প্রথমে বসেন। পরে বাকি শিক্ষিকারা ক্লাস করার মাঝে মাঝে প্রতিবাদে শামিল হন।
১২-১৩ জন শিক্ষিকা স্কুলের গেটে ত্রিপল পেতে ছাতা মাথায় প্ল্যাকার্ড হাতে শিক্ষকদের উপর পুলিশি নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদে বসেছেন। প্রধানশিক্ষিকাও কালো ব্যাজ পরে শিক্ষিকাদের প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন।
শিক্ষিকা মহামায়া মণ্ডল বলেন, ‘‘আমি স্কুল ছুটি নিয়ে প্রতিবাদে নেমেছি। আমায় প্রতিবাদ করতে দেখে সহ-শিক্ষিকারাও যোগ দিয়েছেন।’’ প্রধানশিক্ষিকা টিউলিপ দাস নন্দী বলেন, ‘‘শিক্ষকদের কে যোগ্য কে অযোগ্য জানি না, কিন্তু হঠাৎ করে জানতে পারলাম তাদের চাকরি নেই। এটা খুবই দুঃখজনক। কার দোষ জানি না। বলতে পারব না। তবে এর প্রতিবাদ করা উচিত।’’