E-Paper

জমা জলে লালজি মন্দিরের নকশা নষ্টের ভয়

বুধবার দুই সমস্যার সমাধানের জন্য কেন্দ্রীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগের প্রতিনিধি, মহকুমাশাসকের প্রতিনিধি, পুরপ্রধান, কালনা ১ ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকরা এলাকা পরিদর্শন করেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৯:১৬
কালনা রাজবাড়ি চত্বরে।

কালনা রাজবাড়ি চত্বরে। নিজস্ব চিত্র।

কালনার রাজবাড়ি কমপ্লেক্সের মধ্যে থাকা লালজি মন্দির আগেই স্থান পেয়েছে ডাকটিকিটে। তবে ভারী বৃষ্টি হলে জল জমে প্রাচীন মন্দিরের আশপাশে। দীর্ঘ সময় সেই জল জমে থাকায় মন্দিরের গায়ে থাকা টেরাকোটার কারুকার্য নষ্ট হতে বসেছে। পাশাপাশি ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের নজরদারিতে থাকা কালনার বেশ কিছু মন্দিরে আধুনিক আলো লাগানোর অনুমতি পেতে সমস্যা হচ্ছিল পুরসভার।

বুধবার দুই সমস্যার সমাধানের জন্য কেন্দ্রীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগের প্রতিনিধি, মহকুমাশাসকের প্রতিনিধি, পুরপ্রধান, কালনা ১ ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকরা এলাকা পরিদর্শন করেন। বেশি বৃষ্টি হলে লালজি মন্দিরের আশপাশে তিন থেকে চার ফুট উচ্চতায় জল জমে। বছর দুয়েক আগে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগের এক বিশেষজ্ঞ মন্দির পরিদর্শন করে দেখেন নীচের অংশ থেকে প্রায় ১৫ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত নোনা লেগে নষ্ট হতে বসেছে। তার মধ্যে রয়েছে টেরাকোটার অসংখ্য কারুকার্য। বছর দুয়েক ধরে বেশি বৃষ্টির সময় মন্দির থেকে জল বড় পাইপে বের করতেও দেখা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের কালনা সাব সার্কেল সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্দিরে জল জমার সমস্যা দীর্ঘ দিনের। কয়েক বছর আগে সমস্যা সমাধানের জন্য পুরসভাকে নিকাশিনালা তৈরির জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়। তখন নালা তৈরি হলেও সমস্যার সমাধান হয়নি। বরং মন্দিরের পাশে থাকা একটি পুকুর থেকে নালার মধ্যে বাইরে থেকে মন্দিরের ভিতরে চলে আসে জল।

এ দিন দুপুরে কেন্দ্রীয় এই সংস্থার ডেপুটি এসএ পি কে নায়ার, কালনা সাব সার্কেলের সিনিয়র কনসারভেশন অ্যাসিস্ট্যান্ট অমিত মালো সহ প্রতিনিধি দল কালনা রাজবাড়ি পৌঁছয়। সেখান থেকে তাঁরা যান মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে। বৈঠকের পরে ফিরে আসেন রাজবাড়ি কমপ্লেক্সে। নিকাশি নালা কোন পথ ধরে গিয়েছে দীর্ঘ সময় পরিদর্শন করেন। পুরপ্রধান আনন্দ দত্ত বলেন, ‘‘শহরে বেশ কিছু মন্দির আলোয় সাজানোর পরিকল্পনা হয়েছে। লালজি মন্দির নিয়েও পরিকল্পনা তৈরি হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ হয়েছে।’’ তবে আলোর ব্যাপারে এখনও কেন্দ্রীয় সংস্থার অনুমোদন আসেনি। রাজবাড়ি কমপ্লেক্সের মধ্যে একটি গেট বন্ধ থাকায় পর্যটক থেকে সাধারণ মানুষের অসুবিধার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। কালনার মহকুমাশাসক শুভম আগরওয়াল বলেন, ‘‘দ্রুতকাজ হবে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Kalna Water logged

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy