চার মাস বিরতির পরে বুধবার ফের শুরু হল রবিন কাজি হত্যা মামলার শুনানি। এ দিন এই মামলার চতুর্থ ও পঞ্চম সাক্ষীকে আদালতে তোলেন সরকার পক্ষের আইনজীবী। বিচারকের সামনে দু’জনেই সে দিনের ঘটনার বিবরণ দেন। আজ, বৃহস্পতিবার এই দুই সাক্ষীকে জেরা করতে পারেন অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী।
সরকার ও অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীদের ইচ্ছানুসারে বিধানসভা ভোটের জন্য চার মাস এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ বন্ধ রাখা হয়েছিল। এর আগে ১৫ মার্চ শেষ সাক্ষ্য দেন পেশায় হাতুড়ে পূর্ণচন্দ্র মন্ডল। বুধবার সাক্ষ্য দিলেন জামুড়িয়া থেকে নির্বাচিত জেলা পরিষদ সদস্য তাপস চক্রবর্তী ও স্থানীয় তৃণমূল কর্মী কৌস্তভ চক্রবর্তী। এ দিন সকাল সওয়া ১১টা নাগাদ আসানসোল আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক (২) সুনির্মল দত্তের এজলাসে শুনানি শুরু হয়। তার আগেই এজলাসে হাজির করা হয় ২৩ জন অভিযুক্তকে। এক জন এ দিন উপস্থিত হননি।
সরকারি আইনজীবী বিনয়ানন্দ চট্টোপাধ্যায় দুই সাক্ষীকে এজলাসে হাজির করানোর পরে বিচারকের সামনে তাঁরা দু’জনই নিজেদের সে দিনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বলে দাবি করেন। সে দিন কী ঘটেছিল, কী ভাবে রবিন কাজি খুন হন, তার বিবরণ দেন তাঁরা। আগের তিন সাক্ষী যে বিবরণ দিয়েছিলেন, তার সঙ্গে মিল রয়েছে এ দিনের সাক্ষীদের বিবরণে। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে তাঁদের বয়ান নথিভুক্ত করা হয়। তবে এ দিন এই দুই সাক্ষীকে জেরা করতে পারেননি অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী শেখর কুণ্ডু। আজ, বৃহস্পতিবার তা হতে পারে।
এ দিনও আদালতে আসেন রবিন কাজির স্ত্রী লতিফা। ২০১১ সালের ৪ এপ্রিল বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে জামুড়িয়া বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী প্রভাত চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে প্রচারে বেরিয়ে বাড়ুল গ্রামে খুন হন স্থানীয় তৃণমূল নেতা রবিন কাজি। সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা গাড়ি চাপা দিয়ে তাঁকে খুন করে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত দিনু বাউড়ি। এ ছাড়াও অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন সিপিএম নেতা সদস্য মনোজ দত্ত-সহ ২২ জন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy