Advertisement
E-Paper

বাড়ি ফেরা শ্রমিকের ঝুলন্ত দেহ কেতুগ্রামে

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পার্থসারথির বাবা নির্মাণ-শ্রমিকের কাজ করতে গিয়ে বেঙ্গালুরুতে আটকে রয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০২০ ০৪:০৫
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নির্মাণ-শ্রমিকের কাজ করতে গিয়ে ‘লকডাউন’-এর জেরে অসমে আটকে ছিলেন বেশ কিছু দিন। মাসখানেক আগে সেখান থেকে সাইকেল চালিয়ে কেতুগ্রামের নিরোলে ফিরে আসেন পার্থসারথি মণ্ডল (২৪)। ১৪ দিন সরকারি ‘কোয়রান্টিন’ কেন্দ্রে কাটানোর পরে বাড়ি ফেরেন। শনিবার সকালে তাঁর ঝুলন্ত দেহ মিলল বাড়িতেই।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পার্থসারথির বাবা নির্মাণ-শ্রমিকের কাজ করতে গিয়ে বেঙ্গালুরুতে আটকে রয়েছেন। দাদা নবনারায়ণ মণ্ডলও দিল্লিতে শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিলেন। আরও চার জনের সঙ্গে তিনি সেখান থেকে সাইকেলে বাড়ি ফেরার জন্য রওনা হয়েছেন। এখন মাঝপথে রয়েছেন বলে পরিজন ও পড়শিরা জেনেছেন। পরিবার সূত্রে জানা যায়, অসমে কাজ করতে গিয়ে আটকে পড়ে মুশকিলে পড়েছিলেন পার্থসারথি। শেষে সাইকেল চালিয়েই ফিরে আসেন।

বাড়িতে রয়েছেন পার্থসারথির মা, স্ত্রী ও মাস সাতেকের সন্তান। পরিবার সূত্রের দাবি, বাড়ি ফেরার পরে অভাব-অনটন নিয়ে সংসারে অশান্তি চলছিল। পরিজনদের দাবি, এ দিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন তিনি। পরে জানলা দিয়ে সিলিং ফ্যান থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান প্রতিবেশীরা। দরজা ভেঙে তাঁকে উদ্ধার করে কেতুগ্রাম ২ ব্লক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে জানান।

নিরোল পঞ্চায়েতের প্রধান মিহির মণ্ডল বলেন, ‘‘শুনেছি, পারিবারিক সমস্যা নিয়ে বাড়িতে অশান্তি হয়। আমরা পরিবারটিকে ত্রাণ দিয়ে সাহায্য করেছিলাম। এই ক’দিন আগে সাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরলেন। তার পরে এমন ঘটনা, গ্রামের কেউ মেনে নিতে পারছেন না!’’

পুলিশ জানায়, প্রাথমিক তদন্তে মানসিক অবসাদে ওই যুবক আত্মঘাতী হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। দেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে।

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy