বই তার বরাবরের সঙ্গী। তবে পাঠ্যবই নয়, ঝোঁক বেশি কবিতায়। রবীন্দ্রনাথ থেকে শঙ্খ, শ্রীজাতের লেখা— ঠোঁটস্থ বর্ধমান শহরের কালীবাজার এলাকার ওই ছাত্রের। এদের সঙ্গী করেই এ বার আইসিএসই (দশম শ্রেণি)তে নজর কেড়েছে সুকৃয় চক্রবর্তী।
সেন্ট জেভিয়ার্সের ছাত্র সুকৃয় ৯৮.৮ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। পাঁচটি বিষয়ে মধ্যে ইংরেজিতে ৯৫, ইতিহাস-ভূগোলে ৯৯, অঙ্ক, বিজ্ঞান ও কম্পিউটারে ১০০ করে নম্বর পেয়েছে সে। সুকৃয়র বাবা, বর্ধমান কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের সেহেরাবাজার শাখার ম্যানেজার সুস্মিতবাবু বলেন, “ও বাঁধাধরা করে পড়তে বসত না। প্রচুর রেফারেন্স বই পড়ত। স্কুলের শিক্ষকেরাই পড়াশোনা ভালবাসতে শিখিয়েছেন।”
আদতে সুকৃয়রা নদিয়ার কল্যাণী শহরের এ ব্লকে বাসিন্দা। এখন সেখানে থাকেন দাদু-ঠাকুমা। বাবা-মায়ের সঙ্গে ভাড়াবাড়িতে থাকে সুকৃয়। মা জয়শ্রীদেবী বর্ধমান প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সহকারী পরিদর্শক। ছেলের ফল নিয়ে চিন্তায় স্কুটিটাই পায়ে পড়ে গিয়েছিল তাঁর। রেজাল্ট জানার পর থেকে অবশ্য ব্যথা উধাও। সুকৃয়র ইচ্ছে বড় হয়ে ডাক্তার হওয়া। তার সঙ্গে আধুনিক ভারতের রাজনৈতির ইতিহাস নিয়েও যথেষ্ট আগ্রহী সে। তার কথায়, “তিন জন গৃহশিক্ষক এবং স্কুলের শিক্ষকেরা আমাকে যে ভাবে গড়ে তুলেছেন, তা কোনও দিন ভুলতে পারব না। আমার রেজাল্ট তাঁদেরই জন্য।’’ সঙ্গে পরীক্ষায় ভয় না পাওয়া আর বইয়ের খুঁটিনাটি এবং আইসিএসই বোর্ডের ১০-১২ বছরের পুরনো প্রশ্ন অভ্যেস করা যে খুব কাজে দিয়েছে, তাও জানায় সে। জয়শ্রীদেবী জানান, স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ, সঞ্চালনা, নাটক করতে ভালবাসে সুকৃয়। পরীক্ষার আগে অবশ্য সে সব কিছুটা বন্ধ ছিল। তবে এখন আবার নতুন করে তাতে মেতে উঠতে চায় সুকৃয়।