Advertisement
E-Paper

বিজেপি কর্মীদের উপরে হামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে বর্ধমান শহরের মিঠাপুকুর-নারকেলবাগান এলাকায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০২০ ০৫:৪৪
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

দুই যুবককে মারধরের অভিযোগকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে বর্ধমান শহরে। বিজেপির অভিযোগ, ‘রাজনৈতিক কর্মসূচি’ পালন করতে গিয়ে তৃণমূলের হাতে তাঁদের দু’জন নেতা মার খেয়ে রক্তাক্ত হয়েছেন। মারধরের কথা অস্বীকার করে তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, সে দিন কিছু যুবক জড়ো হয়ে ‘অশালীন’ কথা বলে এলাকা অশান্ত করার চেষ্টা করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে বর্ধমান শহরের মিঠাপুকুর-নারকেলবাগান এলাকায়। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুদিবস উপলক্ষে বিজেপির কর্মসূচি ছিল সে দিন। নারকেলবাগান-মিঠাপুকুর এলাকার একটি বাড়িতে সে জন্য জড়ো হন শহরের বিভিন্ন প্রান্তের বিজেপি নেতা-কর্মীরা। সেখানেই স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে গোলমাল বাধে বলে অভিযোগ। সে দিন সন্ধ্যায় অণির্বাণ দাস ও রাজু মাঝি নামে দু’পক্ষের দু’জন বর্ধমান থানায় অভিযোগ করেন।

অনির্বাণ অভিযোগ করেছেন, ওই এলাকার বাসিন্দা সুনীল সিংহের বাড়িতে যাওয়ার সময়ে ন’জন তাঁকে ও জয়দেব ঘোষ নামে এক জনকে মারধর করেছে। হামলাকারীদের হাতে লাঠি, রড ছিল। তাঁর দাবি, প্রাণে মারার জন্যই তাঁদের উপরে হামলা হয়। তাঁরা রীতিমতো জখম হন। বুধবার নিজেকে বিজেপির বর্ধমান শহরের ৬ নম্বর মণ্ডল কমিটির ‘কনভেনর’ দাবি করে তাঁর অভিযোগ, ‘‘সুনীল সিংহের বাড়ির সামনে অনেক লোক দেখে চমকে যাই। ভেবেছিলাম, ওরা হয়তো আমাদের দলে যোগ দেবে। কিন্তু বাড়ির কাছে পৌঁছতেই আমাদের ঘিরে ধরে মারধর করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থা প্রাণ হাতে নিয়ে পালিয়ে আসি।’’

বিজেপির জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক (বর্ধমান সদর) সুনীল গুপ্তের অভিযোগ, ‘‘ওই এলাকার বিদায়ী কাউন্সিলরের মদতে স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতী আমাদের নেতা-কর্মীদের উপরে হামলা চালিয়েছে।’’ শহরের বিজেপি নেতা কল্লোল নন্দনের দাবি, রবিবার ওই এলাকায় প্রতিবাদ-মিছিল করা হবে।

হামলার অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, লাকুর্ডি, নীলপুর বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন একটি বাড়িতে এসে এলাকা অশান্ত করার চেষ্টা করছিল। জাত তুলে মন্তব্য, গালিগালাজও করছিল। স্থানীয় যুবক রাজু মাঝি সে জন্য বেশ কয়েকজনের নামে অভিযোগ করেছেন। তৃণমূলের আরও দাবি, রাজনৈতিক কোনও গোলমাল হয়নি। এলাকার বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত প্রামাণিক দাবি করেন, ‘‘যাঁরা বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করতে চাইছেন, তাঁদের দলের নেতারাই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে ঘটনার অরাজনৈতিক বিবরণ দিয়েছেন।’’

BJP TMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy