Advertisement
E-Paper

ব্লক সভাপতিকে ‘মার’ কার্যালয়ে, অভিযোগ বিজেপির দিকে

লোকসভা নির্বাচনে রায়না বিধানসভা থেকে ৫৮ হাজার ভোটে জিতেছে তৃণমূল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০১৯ ০২:১১
আহত আনসার আলি। নিজস্ব চিত্র

আহত আনসার আলি। নিজস্ব চিত্র

বৈঠক চলাকালীন দলীয় দফতরে ঢুকে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তথা রায়না ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি আনসার আলি খান ও বেশ কয়েকজন কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম ব্লক সভাপতি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বুধবার দুপুরে মাধবডিহি থানার বড় বৈনান গ্রামের নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে পুলিশ আটকও করেছে।

লোকসভা নির্বাচনে রায়না বিধানসভা থেকে ৫৮ হাজার ভোটে জিতেছে তৃণমূল। তার মধ্যে বড় বৈনানে তৃণমূলের জয়ের ব্যবধান ছিল ৬ হাজারেরও বেশি। তার পরেও তৃণমুল কর্মীরা যাতে এককাট্টা থাকেন সে জন্য পঞ্চায়েত ধরে বৈঠক করার জন্যে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিধায়ক নেপাল ঘড়ুই। সেই মতো এ দিন বড় বৈনান গ্রামের হাটতলায় দলের কার্যালয়ে প্রায় দু’শো জনকে নিয়ে বৈঠকে বসেন ব্লক সভাপতি আনসার আলি খান। তৃণমূলের দাবি, বৈঠক শেষ হওয়ার মুখে খবর মেলে গ্রামের ভিতর তৃণমূলের কয়েকজন কর্মীকে আটকে দিয়েছে বিজেপি। বৈঠক থেকেই মাধবডিহি থানায় খবর যায়। পুলিশের একটি গাড়ি এসে আটক তৃণমূল কর্মীদের হাটতলায় নিয়ে আসেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, পুলিশের গাড়ির পিছনেই ৬০-৭০ জনের একটি দল ছুটে আসে। তাঁদের বেশির ভাগেরই হাতে ছিল লাঠি-রড। কয়েকজনের হাতে ছিল বিজেপির পতাকা। তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে এলে ইট-বৃষ্টি শুরু হয়ে যায় বলে অভিযোগ। ‘ভয়ে’ তাঁরা দলীয় কার্যালয় ছেড়ে পালান। কার্যালয়ের সামনে থাকা মোটরবাইক, সাইকেল ভাঙচুর চালানো হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনাস্থলে থাকা তৃণমূল নেতা অসীম পালের দাবি, “ওই তাণ্ডবের মধ্যে আরও একটি দল উল্টো দিক থেকে এসে হামলা চালায়। দলীয় কার্যালয়ের ভিতর থেকে ব্লক সভাপতিকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। তাতে ৭-৮ জন জখম হয়েছেন।’’ পরে পুলিশের বিরাট বাহিনী এসে লাঠিচার্জ করে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে। ব্লক সভাপতিকে উদ্ধার করে প্রথমে মাধবডিহি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। পরে বর্ধমানে পাঠানো হয়।

রায়নার তৃণমূল পর্যবেক্ষক তথা জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ উত্তম সেনগুপ্ত বলেন, “সিপিএমের লোকেরাই রাতারাতি বিজেপি ঝান্ডা ধরে গুন্ডামি শুরু করেছে। আমরাও গণতান্ত্রিক ভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যে প্রস্তুতি নিচ্ছি।’’ পুলিশ সূত্রের খবর, এই ঘটনার পিছনে বেশ কিছু বিক্ষুব্ধ তৃণমূলও রয়েছে। জেলা বিজেপির সাংগঠনিক সভাপতি (বর্ধমান সদর) সন্দীপ নন্দী বলেন, “সিপিএম ও তৃণমূল এক হয়ে আমাদের কার্যকতাদের ফাঁসাতে চাইছে।’’

BJP TMC Political Violence
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy