E-Paper

নির্দলের যোগে  দুই পঞ্চায়েতে  প্রধান তৃণমূলের

খণ্ডঘোষের শশঙ্গা পঞ্চায়েতের রূপসা গ্রাম থেকে জিতেছেন সিপিএমের পিরু মাঝি। তিনি শংসাপত্র নেননি বলে ব্লক থেকে আধিকারিকদের তাঁর বাড়িতে পাঠানো হয়েছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০২৩ ০৮:৪৩
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

আজ, বৃহস্পতিবার জেলার ২১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন। তার পরেই সদস্যদের নিয়ে প্রথম বৈঠক করার কথা নতুন প্রধান ও উপপ্রধানদের। বুধবার জেলার ২০৮টি পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানের নামের তালিকা তৃণমূল নেতৃত্ব এলাকার বিধায়ক ও ব্লক সভাপতিদের জানিয়ে দিয়েছেন। তৃণমূল সূত্রের দাবি, মেমারি ১ ব্লকের গোপগন্তার ১ পঞ্চায়েতের নির্দল প্রার্থী তাদের দলে যোগ দেওয়ায় সংরক্ষণের আওতায় থাকা প্রধান পদের দাবিদার আর কেউ থাকল না। আবার গলসির সদর পঞ্চায়েতের নির্দল প্রার্থীও তৃণমূলে চলে আসায়, ওই পঞ্চায়েতও ত্রিশঙ্কু রইল না।

বুধবার সকালে জেলার ২০৮টি পঞ্চায়েতের প্রধান-উপপ্রধানের নামের তালিকা জানায় তৃণমূল। সংরক্ষণের কোপে পড়ায় ওই তালিকায় রায়না ১ ব্লকের নাড়ুগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের নাম নেই। জনজাতি-মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত ওই পদে কংগ্রেসের মিনতি মান্ডিকেই বসাতে হবে। তিনি তৃণমূলে যোগ দেবেন না বলে জানিয়েছেন। আবার, জামালপুরের আবুঝহাটি ১ পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের আসনটি জনজাতি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। ওই পঞ্চায়েতের জনজাতি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত দু'টি আসনেই হেরেছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। সেগুলিতে জিতেছে সিপিএম ও বিজেপি। সিপিএমের জামালপুর এরিয়া (২) সম্পাদক মহাদেব সরকার দাবি, উপপ্রধানের জন্য তাদের দল লড়াইয়ে যাবে না। বিজেপি কোনও সিদ্ধান্তের কথা জানায়নি।

খণ্ডঘোষের শশঙ্গা পঞ্চায়েতের রূপসা গ্রাম থেকে জিতেছেন সিপিএমের পিরু মাঝি। তিনি শংসাপত্র নেননি বলে ব্লক থেকে আধিকারিকদের তাঁর বাড়িতে পাঠানো হয়েছিল। পিরুর দাবি, ‘‘খণ্ডঘোষ ব্লকে প্রতিটি পঞ্চায়েতের একাধিক আসনে সিপিএম জিতেছে। অথচ, গণনায় সেই ফল আসার পরেই সন্ত্রাস চালানো হয়। পুনর্গণনা করে তৃণমূল জিতে যায়। সেই প্রতিবাদে আমি জয়ের শংসাপত্র নেব না বলে জানিয়ে দিয়েছি।’’ ব্লকের কর্তারা তাঁর বাড়িতে গেলেও তাঁদের ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছেন।

জেলার চারটি পঞ্চায়েতে ত্রিশঙ্কু ফল হয়। তার মধ্যে তিনটি পঞ্চায়েত গলসিতে। তৃণমূলের প্রকাশিত তালিকায় গলসির দু'টি পঞ্চায়েতকে ত্রিশঙ্কু দেখানো হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, গলসির সদর পঞ্চায়েতের ২০টি আসনের মধ্যে ১০টি তাদের দখলে। বাকি ১০টির মধ্যে সিপিএম পাঁচটি, বিজেপি ও নির্দল দু’টি করে এবং কংগ্রেস একটি আসনে জিতেছিল। এক নির্দল সদস্য পরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি। দরবারপুরে জয়ী ওই নির্দল প্রার্থী শেখ নাসিরউদ্দিন বলেন, “গ্রামের মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। তাঁরা চাইছেন, বোর্ড গঠনে আমি তৃণমূলকে সমর্থন করি। সেই মত তৃণমূলের ব্লক নেতৃত্বকে জানিয়েছি।”

মেমারি ২ ব্লকের বেশ কিছু পঞ্চায়েতে ভোটাভুটি হওয়ার আশঙ্কা করছে তৃণমূল নেতৃত্ব। কয়েক দিন আগে সেখানকার সাতগেছিয়ায় একটি সভায় সে কথা তুলে ধরেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরি। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘কোনও পঞ্চায়েতে ভোটাভুটি হবে না। যাঁরা ভোটাভুটি করতে চাইবেন, তাঁদের নামগুলি দেবেন। কী ভাবে তাঁদের ঘোরাতে হয় দেখব।’’ তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধায়ক ও ব্লক সভাপতিদের মনোনীতদেরই দল প্রধান ও উপপ্রধান করেছে। তবে মেমারি ১ ও রায়না ১ ব্লকে বিধায়ক ও ব্লক সভাপতিরা পৃথক তালিকা জমা দিয়েছিলেন। সেখানে ব্লক সভাপতিদের তালিকা প্রধান্য পেয়েছে বলে দলের একাংশের দাবি। তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দলের নির্দেশ সবাই মানবেন। কোথাও কোনও ক্ষোভ নেই।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Bardhaman

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy