Advertisement
E-Paper

ট্রেকার চালাতে বিধায়কের বাধা, নালিশ যুবকের

স্থানীয় দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতের আপত্তি না থাকা সত্ত্বেও তৃণমূল বিধায়কের ‘দাদাগিরি’তে ট্রেকার নিয়ে রাস্তায় নামতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন এক চালক।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৭ ০০:৪৯

স্থানীয় দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতের আপত্তি না থাকা সত্ত্বেও তৃণমূল বিধায়কের ‘দাদাগিরি’তে ট্রেকার নিয়ে রাস্তায় নামতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন এক চালক। খণ্ডঘোষের হামিরপুর গ্রামের শেখ জিয়াউল করিমের দাবি, খণ্ডঘোষ থানা অভিযোগ নিতে অস্বীকার করায় মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপারের কাছে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি। পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবালও অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।

তবে খণ্ডঘোষের বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগের দাবি, ‘‘পুরোটাই ট্রেকার ও টোটো চালকদের মধ্যে গোলমাল। জোর করে ট্রেকার চালানোর ফলে টোটো চালকেরা অসুবিধায় পড়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিল। তখন ঠিক হয়, খণ্ডঘোষের হাসপাতাল মোড়েই শুধু ট্রেকার দাঁড়াবে। যেখানে সেখানে নয়।’’ তাঁর পাল্টা দাবি, ‘‘ভ্রাতৃবধূকে নির্যাতনের দায়ে ওই ট্রেকার চালক অভিযুক্ত। সেই আক্রোশ থেকেই আমার নামে অভিযোগ করা হয়েছে।”

ওই ট্রেকার চালক পুলিশ সুপারকে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন, গত এক বছর ধরে যাত্রী নিয়ে বারিশালী গ্রাম থেকে খণ্ডঘোষ-উজ্জ্বলপুকুর হয়ে বোঁয়াইচণ্ডী গ্রাম পর্যন্ত ট্রেকার নিয়ে যাতায়াত করেন তিনি। স্থানীয় লোদনা ও বেরুগ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানেরা তাঁকে লিখিত ভাবে ট্রেকার চলাচলে আপত্তি নেই বলেও জানিয়েছেন। তারপরেও বারেবারে বিধায়ক ও তাঁর ঘনিষ্ঠেরা ওই রাস্তায় ট্রেকার নিয়ে যাতায়াতে বাধা দিচ্ছেন বলে তাঁর অভিযোগ।

জিয়াউল করিমের দাবি, গত ১৫ মার্চ তাঁকে দফতরে ডেকে পাঠান নবীনচন্দ্রবাবু। সেখানে বেশ কিছু সমাজবিরোধীরাও ছিল। যাওয়ার পরেই তাঁকে বারিশালী গ্রাম পর্যন্ত ট্রেকার চালানো বন্ধ করতে বলা হয়। প্রতিবাদ করায় বিধায়কের নেতৃত্বে চার জন তাঁর উপর চড়াও হয়ে মারধর করে বলেও তাঁর অভিযোগ। এ দিন তিনি বলেন, “এক মাসের উপর ট্রেকার নিয়ে রাস্তায় নামতে পারেনি। ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছে বিধায়ক ও চার দলবল। কারও কাছে সাহায্য না-পেয়ে পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হলাম।”

খণ্ডঘোষের সিপিএম নেতা বিনোদ ঘোষেরও অভিযোগ, “বিধায়কের দলবলের জন্য এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। ওই ট্রেকার চালক প্রতিবাদ করে প্রশাসনের কাছে ছুটে গিয়েছেন। আশা করি প্রশাসন তাঁকে সাহায্য করবেন।” জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক উত্তম সেনগুপ্ত বলেন, “উনি আমার কাছে এসেছেন। একদিনে সমস্যা মিটবে না। সমাধানের রাস্তা বের করার চেষ্টা করছি।”

TMC TMC MLA trekkers Burdhaman Burdwan
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy