Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
শঙ্করপুর

এলাকায় ভোট মেলেনি, হামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল

বিধানসভা নির্বাচনে এলাকা থেকে বেশি ভোট পেয়েছে সিপিএম। তার পরে বিজেপি। তাদের থেকে অনেকটা কম ভোট পেয়েছে তৃণমূল। দুর্গাপুরের শঙ্করপুরের বাউড়ি পাড়ায় সে জন্য বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের উপরে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল শাসক দলের বিরুদ্ধে। দিন কয়েক আগে ওই এলাকায় সিপিএমের কৃষকসভার অফিস লন্ডভন্ড করা হয়। হুমকি দেওয়া হয় সিপিএম কর্মীদের।

ভাঙচুর বাড়ির গেট। নিজস্ব চিত্র।

ভাঙচুর বাড়ির গেট। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০১৬ ০১:১৫
Share: Save:

বিধানসভা নির্বাচনে এলাকা থেকে বেশি ভোট পেয়েছে সিপিএম। তার পরে বিজেপি। তাদের থেকে অনেকটা কম ভোট পেয়েছে তৃণমূল। দুর্গাপুরের শঙ্করপুরের বাউড়ি পাড়ায় সে জন্য বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের উপরে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল শাসক দলের বিরুদ্ধে।

দিন কয়েক আগে ওই এলাকায় সিপিএমের কৃষকসভার অফিস লন্ডভন্ড করা হয়। হুমকি দেওয়া হয় সিপিএম কর্মীদের। সোমবার রাতে আবার বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে চড়াও হয়ে মারধর, আগুন লাগানো হয়। তৃণমূলের যদিও পাল্টা দাবি, বিজেপির আক্রমণে তাদের এক কর্মী আহত হওয়ার পরে ক্ষিপ্ত জনতা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে ওই এলাকার এক তৃণমূল কর্মীকে মারধর ও কটূক্তির অভিযোগ ওঠে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। রাতে এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অভিযোগ, হামলা শুরু হয় বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে। একটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। বিজেপির তরফে প্রতিরোধ ও পাল্টা হামলা চালানো হয় বলে তৃণমূলের দাবি। সংঘর্ষে জখম হন বিজেপির দশ ও তৃণমূলের পাঁচ জন কর্মী-সমর্থক। তাঁদের মধ্যে এক মহিলা-সহ তৃণমূলের দু’জন দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি। বিজেপি-র চার জন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রের খবর, হামলা-পাল্টা হামলায় এলাকা এতটাই অশান্ত হয়ে ওঠে যে নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ কর্মীরা ঘটনাস্থলে প্রায় পৌঁছতেই পারেননি। ইটের ঘায়ে এক পুলিশ কর্মীর মাথা ফাটে। এর পরেই দুর্গাপুরের অন্য থানা থেকে বাহিনী এলাকায় যায়। যান এডিসিপি (পূর্ব) কুমার গৌতম, এসিপি (পূর্ব) সুব্রত দেব। র‌্যাফ নামার পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এলাকায় যান বিধানসভা ভোটে পাণ্ডবেশ্বরের বিজেপি প্রার্থী জিতেন চট্টোপাধ্যায়, দুর্গাপুর পূর্বের প্রার্থী অখিল মণ্ডলেরা। তাঁদের অভিযোগ, ‘‘ভোটের পর থেকেই পাণ্ডবেশ্বর, লাউদোহা, জেমুয়া এলাকায় তৃণমূলের হামলা শুরু হয়েছে। পুলিশ-প্রশাসনকে বলেও কিছু হচ্ছে না।’’ রাতেই তাঁরা বিধাননগর ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ করেন।

সিপিএমের দুর্গাপুর ২ পূর্ব জোনাল সম্পাদক পঙ্কজ রায় সরকারেরও অভিযোগ, ‘‘ওই এলাকায় তৃণমূল একেবারে ভোট পায়নি। সেই ক্ষোভ থেকেই এ ভাবে বারবার বিরোধীদের উপরে হামলা চালাচ্ছে।’’ দুর্গাপুর-ফরিদপুর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা স্বাধীন ঘোষ অবশ্য বলেন, ‘‘আমাদের লোকজনদের মারধর করেছে বিজেপি। তা থেকেই ঘটনার সূত্রপাত।’’

পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় দশ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে ৭ জন বিজেপি এবং বাকি তিন জন তৃণমূল কর্মী-সমর্থক হিসেবে এলাকায় পরিচিত। মঙ্গলবার তাঁদের আদালতে তোলা হলে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

vandalism TMC CPM Congress
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE