এশিয়া কাপে ভারতের প্রথম ম্যাচেই তাক লাগিয়ে দিয়েছে বৈভব সূর্যবংশী। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে মাত্র ৯৫ বলে ১৭১ রান করেছে সে। এ দিন প্রকাশ্যে এসেছে, চলতি বছরে বিরাট কোহলির থেকেও বেশি গুগ্লে খোঁজা হয়েছে বৈভব সূর্যবংশী সম্পর্কে। এ দিনের ম্যাচের পর বৈভব জানিয়েছে, আমিরশাহির স্লেজিং সামলে কী ভাবে ব্যাট করেছে সে।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের ইনিংসের ৩২তম ওভারে। বৈভব তখন শতরানের দিকে এগোচ্ছিল। তখন আমিরশাহির উইকেটকিপার সালেহ আমিনের সঙ্গে বাদানুবাদ হয় বৈভবের। পিছন থেকে আমিন চিৎকার করে বলছিলেন, “চলো চলো ছেলেরা। ৯০-এর অভিশাপ, ৯০-এর অভিশাপ।” অর্থাৎ বৈভব ৯০-এর ঘরে আউট হয়ে যাবে, এমনটাই আশা করছিলেন আমিন। বৈভব ঘুরে দাঁড়িয়ে বলে, “তোমার সঙ্গে কি নিজস্বী নেব?”
পরে এই ঘটনা সম্পর্কে বৈভব বলে, “আমি বিহার থেকে এসেছি। সত্যি বলতে, এ ধরনের ঘটনায় আমার কিছু যায় আসে না। স্টাম্পের পিছন থেকে সব সময়েই কিছু না কিছু শুনি। কিন্তু আমার মনোযোগ থাকে নিজের খেলার উপরে।”
সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে একটি শতরান করলেও বাকি ম্যাচগুলিতে নজর কাড়তে পারেনি বৈভব। ৫০ ওভারে ফিরতেই স্বমহিমায় সে। বৈভব কৃতিত্ব দিয়েছে প্রস্তুতিকেই। বলেছে, “আমার কাছে প্রস্তুতিই আসল। আমরা এক দিন আগে এসেছি। ম্যাচের আগে ভাল অনুশীলন হয়েছে। সেটা খুবই সাহায্য করেছে।”
বৈভবের সংযোজন, “আমার পরিকল্পনা খুব সহজ ছিল। যত ক্ষণ সম্ভব ব্যাট করতে চেয়েছিলাম। পিচ নতুন ছিল। তাই ১০টা বল নিয়েছিলাম পিচের চরিত্র বোঝার জন্য। সেটা বুঝে যাওয়ার পর আক্রমণ করা শুরু করি।”
আরও পড়ুন:
আগের থেকে শটের বৈচিত্র বেড়েছে বৈভবের ব্যাটে। এটা নিয়েও আলাদা করে অনুশীলন করেছে সে। বলেছে, “আমি অনুশীলন অনেক দিন ধরেই অন্য রকম শট খেলার চেষ্টা করছি। আজ তার মধ্যে কয়েকটা খেলতে পেরেছি। নিজের শটের বৈচিত্র আরও বাড়ানো চেষ্টা করছি।”
গুগ্লে কেন বেশি বার তাঁর নাম খোঁজা হয়েছে তা নিয়েও ভাবতে নারাজ বৈভব। তার কথায়, “আমি সবই দেখি, সবই শুনি। কখনও সখনও হাসি পায় ঠিকই। কিন্তু আমার মধ্যে প্রভাব ফেলে না।”