আহত ছাত্র। —নিজস্ব চিত্র।
টিএমসিপি-র দুই গোষ্ঠীর মারামারিতে উত্তপ্ত হল কালনা কলেজ। বৃহস্পতিবার দুপুরের ওই গোলমালে আহত হয়েছেন সাত জন। নাম জড়িয়েছে টিএমসিপি-র প্রাক্তন ও বর্তমান সহ সভাপতির নামও।
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, এক সময় প্রায়ই দুই গোষ্ঠীর ঝামেলা লেগে থাকত কলেজে। তবে বছর খানেক পরিস্থিতি কিছুটা শুধরেছিল। তার মধ্যেই এ দিন বেলা একটা নাগাদ গোলমাল বাধে। অভিযোগ, বাইরে থেকে কিছু ছেলে এসে কলেজে মারামারি শুরু করে। আহতদের মধ্যে তিন জনকে কালনা মহকুমা হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়। টিএমসিপি-র ইউনিটের সম্পাদক সুলক্ষ্মণা মণ্ডলের অভিযোগ, সংগঠনের এক সদস্যের ভাইকে বুধবার কলেজের ভিতর আপত্তিকর অবস্থায় দেখেন তিনি। ওই ঘটনার প্রতিবাদ করলে কলেজের কয়েকজন এ দিন তাঁকে বেদম মারধর করে বলেও তাঁর দাবি। তাঁর হয়ে ঘটনার নিন্দা করলে সুরজিৎ বিশ্বাস, রনি শর্মা, সাদ্দাম শেখ এবং সৌভিক হাজরাকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। কাউসার, আনিসুর, রাজ এবং নবাব নামে চার জনের নামে কালনা থানায় মারধরের অভিযোগও করেন কলা বিভাগের এক ছাত্রী। সুলক্ষ্মণার আরও দাবি, নান্দাইয়ের বাসিন্দা, টিএমসিপি-র রাজ্য সহ সভাপতি রেজাউল মোল্লার মদতেই এ সব ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্তরা সবই তাঁর ঘনিষ্ঠ। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাউসার শেখ। তার পাল্টা অভিযোগ, ‘‘শহরের বাসিন্দা, টিএমসিপি-র প্রাক্তন সহ সভাপতি সন্দীপ বসু কলেজে ক্ষমতা দখলের জন্য কিছু বহিরাগতকে ঢুকিয়ে আমাদের দিকে থাকা কিছু ছাত্রের উপর হামলা চালায়।’’
যদিও রেজাউল ও সন্দীপ দু’জনেই অভিযোগ মানতে চাননি। টিএমসিপি-র বর্তমান সহ সভাপতি রেজাউল বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে সেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। বৃহস্পতিবার কলেজে একটি গণ্ডগোল হয়েছি বলে শুনেছি। কারা এই ঘটনায় যুক্ত তা খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ অন্যদিকে সন্দীপ বলেন, ‘‘কলেজে গণ্ডগোলের খবর শুনিনি। বিষয়টি না যেনে মন্তব্য করব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy