Advertisement
E-Paper

বছরভর জল জমে, বিপাক সাবওয়েতে

 এক দফা বৃষ্টি হলেই কয়েক মাসের ভোগান্তি বাধা। সাবওয়েতে জল ঠেলেই চলাফেরা করা রোজনামচা হয়ে ওঠে বাসিন্দাদের। বর্ধমানের কালনা গেটের সাবওয়েতে বছরভর জমা জলের এমন সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে কবে, প্রশ্ন পথচারীদের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:৪১
বর্ধমানের কালনাগেট সাবওয়ে। নিজস্ব চিত্র

বর্ধমানের কালনাগেট সাবওয়ে। নিজস্ব চিত্র

এক দফা বৃষ্টি হলেই কয়েক মাসের ভোগান্তি বাধা। সাবওয়েতে জল ঠেলেই চলাফেরা করা রোজনামচা হয়ে ওঠে বাসিন্দাদের। বর্ধমানের কালনা গেটের সাবওয়েতে বছরভর জমা জলের এমন সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে কবে, প্রশ্ন পথচারীদের।

বছর দশেক আগে কালনা গেট লেভেল ক্রসিংয়ে ভিড়ের চাপ কমাতে এই সাবওয়েটি তৈরি করা হয়। পুরসভা সূত্রে জানা যায়, এই পথটি দিয়ে আগে জল নিকাশিই করা হতো। পরে রেলগেটে দুর্ঘটনা এড়াতে তা সাবওয়ে করা হয়। প্রতিদিন প্রায় কয়েক হাজার মানুষ সেখান দিয়ে যাতায়াত করেন। টোটো চালক, স্কুল-কলেজের পড়ুয়া থেকে সাইকেল-মোটরবাইকের আরোহী, সবাইকেই জল ভেঙে যাতায়াত করতে হয়। শুধু জল যন্ত্রণা নয়, সাবওয়েতে কোনও আলোর ব্যবস্থাও নেই। ফলে, ঘন অন্ধকারে জলের মধ্যে দিয়েই চলে যাতায়াত।

ভদ্রপল্লি এলাকার মৃত্যুন মণ্ডল বলেন, ‘‘রেলগেট পড়ে গেলে অনেক সময় লেগে যায়। তাই এই পথ ব্যবহার করতাম। কিন্তু এখন এই পথ যেন বিভীষিকা।’’ একই অভিজ্ঞতা অসীম দাসের। তাঁর কথায়, ‘‘মাঝে-মাঝে সাবওয়ের ভিতরে সাইকেল নিয়ে পড়ে যান অনেকে। যা অবস্থা তাতে এই রকম ঘটনা যে কোনও সময়ে ঘটতেই পারে।’’ এলাকার টোটো চালক নিমাই দেবনাথ জানান, সাবওয়ের ভিতরে জমা জলে অনেক সময়ে গাড়ি আকটে যায়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, একাধিক বার রেল এবং পুরসভাকে এ বিষয়ে জানানো হলেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।

প্রাক্তন সাংসদ তথা রেলবোর্ডের তৎকালীন সদস্য সাইদুল হকের বক্তব্য, ‘‘এই সমস্যা নিয়ে তখন পুরসভা আমাকে রিপোর্ট পাঠালে আমি রেলের ইঞ্জিনিয়ারদের জানাই। কিন্তু তার পরে তাঁদের দিক থেকে কোনও জবাব পাইনি।’’ বর্ধমান স্টেশনের ম্যানেজার স্বপন অধিকারী যদিও বলেন, ‘‘বিষয়টি পুরসভার দেখা উচিত।’’

এলাকার কাউন্সিলর সৈয়দ মহম্মদ সেলিমের দাবি, এ নিয়ে রেলের সঙ্গে বারবার আলোচনা করা হয়েছে পুরসভার তরফে। কিন্তু সমস্যা মেটানো যায়নি। তাঁর কথায়, ‘‘পাশে একটি নয়ানজুলি রয়েছে। তারই জল নীচ থেকে উঠে এসে জমে যায়। বারবার পুরসভার তরফে পরিষ্কার করা হলেও ফের জল জমে যায়। সেতুটির এমন হাল যে আর কোনও মেরামত করতে গেলে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।’’

Water Logging Subway
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy