Advertisement
E-Paper

বোমা উদ্ধার, অস্ত্র-সহ ধৃত দুই

পাইপগান ও কার্তুজ-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৯ ০১:২০
উদ্ধার হওয়া বোমা। নিজস্ব চিত্র

উদ্ধার হওয়া বোমা। নিজস্ব চিত্র

দু’দিন আগে ভাতারের এরুয়ার গ্রামে দু’দলের মধ্যে বোমাবাজি হয়। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, তিনজন পুলিশকর্মী আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাও ঘটে। রবিবার সকালে ওই এলাকারই একটি গ্রাম থেকে প্রথমে বোমা উদ্ধার হয়। পরে লাগোয়া গ্রাম থেকে পাইপগান ও কার্তুজ-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।

পুলিশ জানায়, রবিবার সকালে এরুয়ার পঞ্চায়েতের রামপুর গ্রামের দদিপাড়ায় একটি ঝোপের ভিতরে বাজারের থলি পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। তাঁরা ওই থলিতে বোমা রয়েছে বলে দেখেন। পুলিশ জানায়, থলিতে ১১টি বোমা ছিল। সেগুলি নিষ্ক্রিয় করা হয়।

এর পরেই পুলিশ ওরগ্রামের ১ নম্বর কলোনিতে তাড়া করে দুই ‘অপরিচিত’ মোটরাইক আরোহীকে ধরে। পুলিশের দাবি, গোবিন্দ মিদ্যা ও সঞ্জয় মণ্ডল নামে রামপুর লাগোয়া নবাবনগর ক্যাম্পের বাসিন্দা ওই দু’জনের কাছে একটি পাইপগান ও তিন রাউন্ড কার্তুজ মিলেছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি মোটরবাইক বজেয়াপ্ত করে। যদিও ধৃতদের দাবি, মোটরবাইকটি তাঁদের নয়। কী কারণে ওই দু’জন ওরগ্রামে এসেছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

এই ঘটনার পরেই শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। তৃণমূলের দাবি, ধৃতেরা বিজেপির কর্মী। গত শুক্রবার নবাবক্যাম্পে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও তৃণমূল কর্মীর বাড়ি-দোকান ভাঙচুরের এফআইআর-এ ধৃতদের নাম রয়েছে। ওই দিন ভোরে এরুয়ার গ্রামেও তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ, তার পরে থেকেই ধৃতেরা ওরগ্রামের ঝর্না কলোনিতে লুকিয়ে ছিলেন।

তৃণমূল নেতা মানগোবিন্দ অধিকারীর দাবি, “ধৃতেরা আমাদের এক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যকে পাইপগান দেখিয়ে ভয় দেখাতে গিয়েছিলেন। তা আশপাশের লোকজন দেখে ফেললে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা পালাতে যান। স্থানীয়েরা তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেন।’’ একই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, “রামপুরের গরিব মানুষদের তৃণমূল থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চাইছে বিজেপি। তাতে অসফল দেখেই ভয় দেখাতে বিজেপি বোমা জড়ো করে রেখেছিল।’’ যদিও এই সব অভিযোগ ও দাবিকে ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন ভাতারের ৩৩ নম্বর মন্ডলের সভাপতি কৃষ্ণদাস সিংহ। তিনি বলেন, “নবাবনগর ক্যাম্পের লোকজনকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে। তৃণমূলের অত্যাচারে ওই এলাকার মানুষজন ঘরছাড়া।’’

যদিও পুলিশ জানায়, একই পঞ্চায়েত এলাকার দু’টি গ্রামে বোমা উদ্ধার ও আগ্নেয়াস্ত্র-সহ দু’জনের ধরার পড়ার ঘটনা ঘটলেও দু’টি বিষয়ের মধ্যে কোনও যোগসূত্র নেই। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বর্ধমান সদর) প্রিয়ব্রত রায় বলেন, “বোমা কী ভাবে এল তার তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই দুই যুবক কী ভাবে অস্ত্র ও কার্তুজ পেলেন, সে বিষয়েও তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’’

Crime Bombs Arms Police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy