বাড়িতে ঋষভ। —নিজস্ব চিত্র।
ঠাকুরমা ক্যানসারের সঙ্গে লড়তে লড়তে মারা যান মুম্বইয়ের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে। কিন্তু হাসপাতালের এক চিকিৎসককে দেখে সেদিন থেকেই ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখতে থাকে ছেলেটি। জয়েন্ট এন্ট্রান্সের রেজাল্ট বেরনোর পর দেখা গেল বর্ধমানের কালীবাজার এলাকার আমতলার বাসিন্দা ঋষভ হাজরার স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুলের পড়ুয়া ঋষভ ডাক্তারিতে মেধাতালিকায় রাজ্যে পঞ্চম স্থান অর্জন করেছে। জেলার আরও এক পড়ুয়া আসানসোলের সিঞ্চনস্নিগ্ধ অধিকারী ইঞ্জিনিয়ারিং-এ সপ্তম হয়েছে। পঞ্চম শ্রেণি থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত ঋষভের পড়াশোনা নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে। তারপর ভর্তি হয় বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুলে। উচ্চ মাধ্যমিকে ৯৫ শতাংশেরও বেশি নম্বর পেয়ে ঋষভ রাজ্যে দ্বাদশ স্থান পায়। ঋষভের মা মধুমিতাদেবী জানান, ছেলে নিয়ম করে দিনে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা পড়াশোনা করত। বাবা রাজনারায়ণবাবু বলেন, ‘‘মিশনে পড়ার সময় থেকেই মানবসেবার প্রতি ঋষভের আকর্ষণ। সেই তাগিদেই ও এই পথ বেছে নিল।’’ তবে মিউনিসিপ্যাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক শম্ভুনাথ চক্রবর্তীর উৎসাহও তার সাফল্যে বড় ভূমিকা নিয়েছে বলে জানায় ঋষভ। পড়াশোনার পাশাপাশি ফুটবলভক্ত ঋষভ মজে থাকে মেসিকে নিয়েও। উৎসাহ রয়েছে ক্যাকটাস, চন্দ্রবিন্দু-সহ বাংলা ব্যান্ডের গানেও।
সকালে আত্মীয়ের ফোনে আসানসোলের ময়দাকলের বাসিন্দা সিঞ্চনস্নিগ্ধ অধিকারী নিজের ফল জানতে পারে। ওল্ড স্টেশন হাইস্কুলের পড়ুয়া সিঞ্চনস্নিগ্ধের প্রিয় বিষয় তবে প্রযুক্তিবদ্যা নয়। ভবিষ্যতে সে পরিসংখ্যান নিয়ে পড়াশোনা করতে চায়। বাবা প্রদীপবাবু বলেন, ‘‘নিজের খুশিমতো পড়াশোনা করেই ছেলের এই সাফল্য।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy