Advertisement
E-Paper

ফের মৃত্যু দুই চাষির

দুই ভাগচাষির অস্বাভাবিক মৃত্যু হল বর্ধমানে। যদিও দুই পরিবারেই দাবি, ধান ও আলু চাষের দেনা শোধ করতে না পেরেই আত্মঘাতী হয়েছেন সনাতন ধারা (৪৯) ও যদু সরেন (৬২) নামে ওই দু’জন। পুলিশ জানিয়েছে, ভাতারের নবস্থা গ্রামের সনাতনবাবু গত বুধবার বাড়িতেই কীটনাশক খান। পরে শুক্রবার রাতের দিকে বর্ধমান মেডিক্যালে মৃত্যু হয় তাঁর।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০১৫ ০০:৪১

দুই ভাগচাষির অস্বাভাবিক মৃত্যু হল বর্ধমানে। যদিও দুই পরিবারেই দাবি, ধান ও আলু চাষের দেনা শোধ করতে না পেরেই আত্মঘাতী হয়েছেন সনাতন ধারা (৪৯) ও যদু সরেন (৬২) নামে ওই দু’জন।

পুলিশ জানিয়েছে, ভাতারের নবস্থা গ্রামের সনাতনবাবু গত বুধবার বাড়িতেই কীটনাশক খান। পরে শুক্রবার রাতের দিকে বর্ধমান মেডিক্যালে মৃত্যু হয় তাঁর। সনাতনবাবুর ছেলে সমীর ধারার অবশ্য দাবি, ‘‘বাবা দু’বিঘে জমিতে বোরো ধান চাষ করেছিলেন। কিন্তু কিছুদিন আগেই শিলাবৃষ্টিতে বেশির ভাগ নষ্ট হয়ে যায়। মহাজনের টাকা শোধ করতে না পেরেই এ কাজ করেন বাবা।’’ একই দাবি যদুবাবুর ছেলে তাপস সরেনেরও। মেমারির করন্দা গ্রামের বাসিন্দা তাপসবাবু বলেন, ‘‘ধান ও আলু চাষের খরচ মেটাতে গিয়ে মায়ের গয়না বন্ধক রেখেছিল বাবা। চাষ করে যেটুকু পাওয়া গিয়েছিল তাও খরচ হয়ে গিয়েছিল। এ নিয়ে বাড়িতে অশান্তি চলছিল। শুক্রবার বাড়িতে কেউ না থাকার সময় কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হন বাবা।’’

বর্ধমান জেলা কৃষক সম্পাদক আব্দুর রজ্জাক মণ্ডলের অভিযোগ, ‘‘সরকারের জনবিরোধী নীতির জন্যই রাজ্যে জুড়ে কৃষিতে বিপর্যয় চলছে। ফসলের দাম নেই। সমবায় ব্যাঙ্কগুলি ঋণ দেয় না। বিপণনের ব্যবস্থাও ঢিলেঢালা।’’ জেলায় এ পর্যন্ত ১১ জন চাষির মৃত্যু হয়েছে বলেও তাঁর দাবি।

ভাতারের বিডিও প্রলয় মণ্ডলের দাবি, ‘‘ওই চাষির ম়ত্যুর ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হয়েছে। পারিবারিক কারণে আত্মহত্যা বলে খবর পেয়েছি। পড়শি পরিবারের সঙ্গে ঝামেলা থেকেই এই ঘটনা।’’

burdwan farmer death suicide
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy