Advertisement
E-Paper

তালিকায় দুর্নীতি, পঞ্চায়েতে তালা

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পঞ্চায়েতের গেটে তালা ঝোলালেন গ্রামবাসীদের একাংশ। বৃহস্পতিবার মঙ্গলকোটের পালিগ্রাম পঞ্চায়েত দফতরে কাজকর্ম শুরুর আগেই গেটের গায়ে পোস্টার ঝুলিয়ে দেন তাঁরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:১১

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পঞ্চায়েতের গেটে তালা ঝোলালেন গ্রামবাসীদের একাংশ। বৃহস্পতিবার মঙ্গলকোটের পালিগ্রাম পঞ্চায়েত দফতরে কাজকর্ম শুরুর আগেই গেটের গায়ে পোস্টার ঝুলিয়ে দেন তাঁরা। তাতে লেখা ছিল, ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতির প্রতিবাদে অনির্দিষ্ট কালের জন্য পঞ্চায়েত বন্ধ’। দফতরে ঢুকতে পারেননি উপপ্রধান ও অন্য কর্মীরাও। কয়েক ঘণ্টা বিক্ষোভ দেখানোর পরে বিক্ষোভকারীরা নিজেরাই তালা খুলে দেন।

পালিগ্রাম পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা তথা ওই পঞ্চায়েতের ৬ নম্বর সংসদের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা কামরুন্নেসা বেগমের স্বামী সাহানুর মল্লিকের অভিযোগ, সম্প্রতি পঞ্চায়েত থেকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় যে সমস্ত উপভোক্তার নামের তালিকা ব্লকে পাঠানো হয়েছে, তাতে প্রকৃত গরিব মানুষের নাম নেই। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য হওয়ার পরেও তাঁর স্ত্রীকে এ ব্যাপারে অন্ধকারে রাখা হয়েছে বলে তাঁর দাবি। বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার পঞ্চায়েত প্রধান এবং ব্লক প্রশাসনকে জানানো হলেও কোনও সুরাহা হয়নি বলেও জানান গ্রামবাসীরা। এরপরেই পালিগ্রাম, নবগ্রাম, মাঝিখাড়া, মনোহরপুর-সহ বেশ কিছু এলাকার মানুষ পঞ্চায়েতের গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখান। পরে স্থানীয় বিধায়কের আশ্বাসে তালা তালা খুলে নেন। পঞ্চায়েত প্রধান আগমনী রায়ের দাবি, ‘‘আমি একটি মিটিংয়ে ব্লকে ছিলাম। পঞ্চায়েতে তালা লাগানো হয়েছে শুনে বিষয়টি ব্লক প্রশাসনকে মৌখিক ভাবে জানিয়েছিলাম। তবে কারা তালা লাগিয়েছিল তা জানি না। কেউ কোনও অভিযোগ নিয়েও আমার কাছে আসেনি।’’ আর দুর্নীতি নিয়ে তাঁর দাবি, কারা প্রকৃত বাড়ি পাওয়ার যোগ্য তা তদন্ত করলেই বোঝা যাবে।

মঙ্গলকোট পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মুন্সি রেজাউল হক জানান, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকায় যাঁদের নাম আছে তার বাইরে তো কাউকে বাড়ি দেওয়া যাবে না। এটা সরকারি নিয়ম অনুযায়ীই করতে হবে। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, সিপিএমের মদতে কিছু লোক তালা লাগিয়েছিল। পরে তা খুলে দেয়। কিন্তু দলের সদস্যই তো দুর্নীতির অভিযোগ করছেন? পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের দাবি, ‘‘দলের কারও কিছু বলার থাকলে তা দলের মধ্যেই বলতে হবে। পঞ্চায়েতে তালা লাগানো উচিত নয়।’’

Panchayat Office Corruption
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy