Advertisement
E-Paper

ছুটি নিয়ে গ্রামে এসে চাষ করছেন যুবকেরা

গতানুগতিক পদ্ধতি ছেড়ে জৈব চাষ শুরু করেছিলেন গ্রামেরই চার জন। পরে তাঁদের দেখেই সেনাবাহিনী, বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত কয়েক জন যুবকের ইচ্ছে হয় যে গ্রামে বড় হয়েছেন, সেই গ্রামের জন্য কিছু করার।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:৪৭
খেয়াই বাঁন্দরায় চাষ।নিজস্ব চিত্র।

খেয়াই বাঁন্দরায় চাষ।নিজস্ব চিত্র।

গতানুগতিক পদ্ধতি ছেড়ে জৈব চাষ শুরু করেছিলেন গ্রামেরই চার জন। পরে তাঁদের দেখেই সেনাবাহিনী, বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত কয়েক জন যুবকের ইচ্ছে হয় যে গ্রামে বড় হয়েছেন, সেই গ্রামের জন্য কিছু করার। সেই টান থেকেই প্রতি বছর মতো এ বারও রবিবার কেতুগ্রামের খেয়াই বাঁন্দরা গ্রামে এসে জৈব পদ্ধতিতে বোরো চাষ শুরু করলেন তাঁরা। লাভের পুরো টাকাটাই ব্যবহৃত হয় গ্রামের কাজে, দুঃস্থ ছাত্রদের পড়াশোনার খরচ জোগাতে।

গ্রামবাসীরা জানান, ছ’বছর আগে গ্রামেরই বাসিন্দা উত্তম পাল, মৃণাল ঘোষ, বিভাস পাল ও সমীরণ পাল মিলে শুরু করেন জৈব চাষ। পরামর্শদাতা হিসেবে সাহায্য করেন কেতুগ্রাম ২ ব্লকের ফার্ম ম্যানেজার কমল বিশ্বাস। এগিয়ে আসেন পোষলা, বড়খেঁয়াই, কৌরি প্রভৃতি এলাকার শ’দেড়েক চাষিও। দু’বছর আগে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন খোয়াই বাঁন্দরা, ছোট খেঁয়াই গ্রামে বড়ো হওয়া বহুজাতিক সংস্থার কর্মী সন্দীপ ঘোষ, সেনাকর্মী দয়ালচন্দ্র পাল, ‌চিকিৎসক মৃণালকান্তি ঘোষ। রবিবার গ্রামে গিয়ে দেখা গেল নিজেরা মাঠে নেমে বীজ বপন করা শুধু নয়। কী ভাবে জৈব পদ্ধতিতে চাষ করা যায়, তাও হতে কলমে স্কুল-কলেজের ছাত্রদের শিখিয়ে দিচ্ছেন সন্দীপবাবুরা। কান্দরা কলেজের ছাত্র মানস ঘোষ বলেন, ‘‘এখানে এসে শিখতে পারছি, কী ভাবে রাসায়নিক সারের ব্যবহার ছাড়াও চাষ করা যায়।’’ জৈব চাষে জনপ্রিয়তা দেখে খুশি চাষি পরিবারের সন্তান সন্দীপবাবুরা। তাঁদের কথায়, ‘‘ছুটি পাওয়া বেশ কঠিন। কিন্তু ভালবাসাই প্রতি বছর এই সময়টা না গ্রামে না এসে পারি না।’’ ব্লক কৃষি আধিকারিক শান্তনু লাহা বলেন, ‘‘জৈব পদ্ধতিতে সব্জি চাষে বেশি লাভ। আগামী বছর থেকে চাষিরা যাতে ঋণ পান, তার ব্যবস্থা করা হবে।’’

Youths Cultivation Village
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy