Advertisement
E-Paper

দুর্নীতির অভিযোগে ৩ নেতার বাড়িতে ‘চড়াও’

অভিযোগ, হারাধনবাবুকে তুলে নিয়ে গিয়ে সালিশি সভা বসিয়ে জরিমানা আদায়ের চেষ্টা করা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও শঙ্খ বন্দ্যোপাধ্যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৯ ০০:০৪
কুমারপুর গ্রামে পুলিশের টহল। নিজস্ব চিত্র

কুমারপুর গ্রামে পুলিশের টহল। নিজস্ব চিত্র

একশো দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কয়েক দিন আগেই ব্লক অফিসের দারস্থ হয়েছিলেন গলসি ২ ব্লকের ভূঁড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের কুমারপুর গ্রামের একাংশ বাসিন্দা। দুই তৃণমূল নেতা-সহ এক সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগও তুলেছিলেন তাঁরা। রবিবার ফের সুপারভাইজার শ্রীকান্ত ঘোষ, দুই নেতা হরিসাধন চট্টোপাধ্যায়ে ও হারাধন ধীবদের বাড়িতে ‘চড়াও’ হন গ্রামবাসীদের একাংশ।

অভিযোগ, হারাধনবাবুকে তুলে নিয়ে গিয়ে সালিশি সভা বসিয়ে জরিমানা আদায়ের চেষ্টা করা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও শঙ্খ বন্দ্যোপাধ্যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামে জবকার্ড রয়েছে ২৫৩ জনের। ২০১৪ সালে একশো দিনের প্রকল্পে গ্রামে কাজ হয়েছে। কিন্তু, যাঁরা ওই কাজ করেছিলেন তাঁদের অনেকেই টাকা পাননি বলে অভিযোগ। গ্রামবাসী মায়া সাঁতরা, মিনতি বিশ্বাস ও অনিল সাঁতরাদের দাবি, কেউ ৪৮ দিন, কেউ ৭০ দিন কাজ করেছেন। কিন্তু অর্ধেকের বেশি মজুরি মেলেনি। তাঁদের ভুল বুঝিয়ে সুপারভাইজার ও তৃণমূল নেতারা ব্যাঙ্কের গ্রাহক সহায়তা কেন্দ্রের মাধ্যমে টাকা তুলে নিয়েছেন বলেও তাঁদের দাবি। ওই কাউন্টারের মালিক তথা তৃণমূল নেতা হরিসাধনই মূল পান্ডা, তাঁদের অভিযোগ। মিনতিদেবী বলেন, ‘‘আমরা স্বামী-স্ত্রী মিলে ৯৬ দিনের কাজ করেছি। মাত্র আট হাজার টাকা পেয়েছি। আমাদের ব্যাঙ্কের পাসবই আটকে রেখে টিপসই নিয়ে টাকা তুলে নিয়েছে সুপারভাইজার।’’ একই অভিযোগ চিত্তরঞ্জন ঘোষের। তিনি বলেন, ‘‘ওই বছর আমি কোনও টাকাই পাইনি।’’

যদিও অভিযুক্ত সুপারভাইজার শ্রীকান্তবাবুর দাবি, ‘‘সব অভিযোগ মিথ্যা। তৃণমূলের বদনাম করতে জোর করে জরিমানা আদায় করার চেষ্টা চালাছে বিজেপি।’’ হরিসাধনবাবুরও পাল্টা অভিযোগ, ‘‘জমিতে চাষ করতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দিয়ে গিয়েছে। ভয়ে বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না।’’ গলসি ২ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি বাসুদেব চৌধুরিরও দাবি, ‘‘বিজেপি বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করছে।’’

স্থানীয় বিজেপি নেতা অভিজিৎ শিকদার বলেন, ‘‘বিভিন্ন ভাবে দুর্নীতি করেছেন তৃণমূলের নেতারা। লক্ষ-লক্ষ টাকার নয়ছয় হয়েছে। কিছু বলতে গেলে গ্রামবাসীদের বিভিন্ন ভাবে ভয় দেখানো হচ্ছে।’’

Corruption Gherao Villagers Galsi TMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy