প্রতীকী ছবি।
গণনার আগের রাতে এক ঘণ্টা ‘বন্ধ’ ছিল স্ট্রং রুমের সিসিটিভি ক্যামেরা, এই অভিযোগে আসানসোলে বিক্ষোভ দেখাল বিরোধী প্রার্থী এবং তাঁদের সমর্থকরা। রবিবার রাতে আসানসোল পলিটেকনিক কলেজ চত্বরের এ নিয়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। শেষে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি চালায় পুলিশ। যদিও বিরোধীদের বক্তব্য তারা ন্যায্য কারণেই প্রতিবাদ জানিয়েছেন। স্ট্রং রুমে যেখানে ভোট গ্রহণ যন্ত্র কড়া নিরাপত্তায় রাখা হয়েছে, সেখানে এক ঘণ্টা ক্যামেরা বন্ধ করে কোনও অনৈতিক কাজ হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয় এখনও।
রাত পোহালেই চার পুরসভার ভোট গণনা। তার আগে ভোটগ্রহণ যন্ত্রগুলিকে কড়া নিরাপত্তায় রাখা হয়েছে পুরসভার নির্দিষ্ট গণনা কেন্দ্রের স্ট্রং রুমে। আসানসোলের ওই কলেজে নিরাপত্তার পাশাপাশি স্ট্রং রুমের ভিতরে কী হচ্ছে তার পুরোটাই একটি টিভি পর্দায় বাইরে দেখানোর ব্যবস্থাও ছিল। আসানসোলের বিরোধী প্রার্থীদের অভিযোগ এই টিভি পর্দাটিই হঠাৎ অন্ধকার হয়ে যায় রবিবার রাতে।
বিষয়টি সঙ্গ সঙ্গেই নিরাপত্তাকর্মীদের নজরে আনেন বিরোধী প্রার্থী এবং তাঁদের সমর্থকরা। স্ট্রং রুমের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার অন্য সিসিটিভি ফুটেজও দেখতে চাওয়া হয়। কিন্তু সেই অনুরোধ রাখা হয়নি। এরপরই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিরোধীরা। পরে প্রায় এক ঘণ্টা পর ফের চালু হয় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার সম্প্রচার। কিন্তু ততক্ষণে বিরোধীরা অভিযোগ করতে শুরু করেছেন, ওই এক ঘণ্টায় স্ট্রং রুমের ভিতরের কোনও অনৈতিক কাজ হয়েছে কি না জানাতে হবে। এ ব্যাপারে তাঁদের আশ্বস্ত করা হলেও বিরোধীরা শোনেননি।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট হয়েছে রাজ্যের চার পুরনিগম বিধাননগর, চন্দননগর, শিলিগুড়ি এবং আসানসোলে। যার ফল প্রকাশ হওয়ার কথা সোমবার অর্থাৎ ১৪ ফেব্রুয়ারি। গণনা শুরু হবে সোমবার সকাল থেকেই। ইতিমধ্যেই বিজেপি ভোটে রিগিংয়ের অভিযোগ এনেছে। আসানসোলের ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিও বলেন, প্রশাসন সন্দেহের অবকাশ রাখছে কেন? সমস্ত বিরোধী দলের প্রতিনিধিদের স্ট্রং রুমে নিয়ে গিয়ে তাঁদের আশ্বস্ত করলেই অশান্তি থাকে না। যদিও অন্য একটি সূত্রে খবর, সেই প্রস্তাব দেওয়া হলেও বিরোধীরা বিক্ষোভ থামাননি। উল্টে ভোট যন্ত্র কারচুপির অভিযোগ আনেন তাঁরা।
কলেজ চত্বরে বিক্ষোভ বাড়তে শুরু করলে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি চালায়। ঘটনাস্থলের একটি ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, বিরোধী প্রার্থীদের অনেকেই পুলিশের লাঠির আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy