তৃণমূলের কর্মিসভায় মন্ত্রী অরূপ। নিজস্ব চিত্র।
পুরভোটে কোনও রকম জোর খাটানো থেকে বিরত থাকার জন্য তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের বার্তা দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। বর্ধমানে প্রচারে এসে শনিবার তৃণমূলের কর্মিসভায় তিনি বলেন, ‘‘পুরনির্বাচনে দু'হাজার ভোটে জয় পেলে সেটাকেই গণতন্ত্রের আশীর্বাদ। সেটা ২০৫০ করার কোনো দরকার নেই।’’
হঠাৎ এই বার্তার তাৎপর্য কী? উত্তরে অরূপ বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আমলে যে উন্নয়ন হয়েছে, তার নিরিখেই আমরা ভোট চাইছি। সেই উন্নয়নের জন্যই মানুষ আমাদের আশীর্বাদ করবেন। মানুষের আশীর্বাদ পাথেয় করেই আমরা এগিয়ে চলব।’’ প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরে কলকাতা পুরভোটের আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও তৃণমূলের কর্মিসভায় জানিয়েছিলেন, সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন করে জিততে ভাবে। কোনও অবস্থাতেই ভোটে জেতার জন্য ‘প্রভাব’ খাটানো চলবে না।
শনিবার বর্ধমানে পুরভোটের প্রচারে এসে বিজেপি নেতা রাহুল সিংহ দাবি করেছিলেন, সিবিআই ঢিলেমি না করলে অনেক তৃণমূল নেতা জেলে থাকতেন। এই প্রসঙ্গে অরূপ বলেন, ‘‘রাহুল সিংহ এখনও পর্যন্ত কোনও ভোটে জেতেননি। আগে আগামী বছর পঞ্চায়েত ভোটে জিতে পঞ্চায়েত সদস্য হোন। তার পর তাঁর প্রশ্নের জবাব দেব।’’
পূর্ব বর্ধমান জেলায় প্রচারে এসে শনিবার অরূপ প্রথমে বর্ধমানের সংস্কৃতি লোকমঞ্চে কর্মিসভায় অংশ নেন। সেখানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, বিধায়ক খোকন দাস-সহ দলের নেতা-নেত্রীরা। বর্ধমান পুরসভার ৩৫ জন তৃণমূল প্রার্থীকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন অরূপ।
দলের কর্মীদের উদ্দেশে মন্ত্রী অরূপ বলেন, ‘‘আজ এক জন প্রার্থী। কাল আপনিও হতে পারেন। সব নজরে রয়েছে দলনেত্রীর। তার উন্নয়নের কর্মকাণ্ড মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। বাড়ি বাড়ি প্রচারে গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলুন। তাঁদের সমস্যার কথা শুনুন। ভোটের পর সেগুলি মাথায় রাখতে হবে।’’ বর্ধমানে সভা শেষে সেরে অরূপ মেমারি ও কালনায় প্রচারে যান।
অরূপের মন্তব্য প্রসঙ্গে জেলার বিজেপি নেতা কল্লোল নন্দন বলেন, ‘‘ভোট লুট করা তৃণমূলের সংস্কৃতি। চারটি পুরনির্বাচনেই তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। মানুষ ভোট দিতে পারবে না। মানুষের ভোট লুঠ করবে তৃণমূল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy