Advertisement
E-Paper

স্ত্রীর কাস্তের কোপে গাল কাটল স্বামীর, গুরুতর আহত অবস্থায় বর্তমানে ভর্তি কাটোয়ার হাসপাতালে

মদ্যপান করার জন্য টাকা চেয়েছিলেন গৌতম। কিন্তু স্ত্রী দিতে নারাজ। তা নিয়েই দম্পতির ঝগড়ার পর স্বামী নিজের গলায় ফাঁস দিতে যান। তাঁকে বাঁচাতে গিয়েই কাস্তের কোপে গাল উড়ে যায় গৌতমের।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৩ ২০:২০
representational image

— প্রতীকী ছবি।

স্ত্রীর কাস্তের কোপে গাল কাটল স্বামীর। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনা পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার মুলটি গ্রামের। এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি।

মুলটি ঘোষপাড়ার বাসিন্দা গৌতম ঘোষ পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। মাস দুয়েক আগে গুজরাতের সুরাত থেকে বাড়িতে ফিরেছেন। ধান তোলার পর আবার তাঁর সুরাত ফিরে যাওয়ার কথা। বাড়িতে রয়েছেন স্ত্রী বৃষ্টি, পাঁচ বছরের ছেলে এবং বাবা, মা। পরিবার সূত্রে খবর, বাড়িতে ফেরার পর পুজোর মরসুম থেকে গৌতম রোজই মদ্যপান করছিলেন। এ নিয়ে স্ত্রীর আপত্তিতে পাত্তা দেননি। মানছিলেন না পরিবারের বাকিদের কথাও।

বৃহস্পতিবার রাতেও বন্ধুদের সঙ্গে মদ্যপান করে বাড়ি ফেরার সময় গৌতমের পকেটে দেড়শো টাকা ছিল। সেই টাকা কোনও ভাবে স্ত্রীর হাতে চলে আসে। শুক্রবার সকালে ঘুম থেকে উঠে পকেটে হাত দিয়ে টাকা পাননি গৌতম। পরে জানতে পারেন, টাকা স্ত্রীর কাছে গচ্ছিত রয়েছে। ওই দেড়শো টাকা বৃষ্টির কাছে বার বার চাইছিলেন গৌতম। কিন্তু টাকা পেলে ফের মদ্যপান করবেন গৌতম এই আশঙ্কায় বৃষ্টি টাকা দেননি।

এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে বচসা হয়। জানা গিয়েছে, তখনই গৌতম রেগে নিয়ে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। তার পর স্ত্রীর একটি শাড়ি নিয়ে গলায় জড়িয়ে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলে পড়েন। বৃষ্টি তড়িঘড়ি দরজা খুলে ঘরে ঢুকে দেখতে পান এই অবস্থা। হাতের কাছে ছিল একটি ধারাল কাস্তে। সেটি নিয়ে শাড়ি কেটে স্বামীকে নামানোর চেষ্টা করেন। এ দিকে গলায় টান পড়ায় ছটফট করছিলেন গৌতম। তাড়াহুড়োয় কাস্তে গিয়ে লাগে গৌতমের গালে। তা থেকে রক্ত ঝরতে থাকে। হাত কেটে রক্ত ঝরতে থাকে বৃষ্টির হাত থেকেও। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টিই স্বামীকে ফাঁসমুক্ত করেন। তার পর গৌতমকে কাটোয়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পুলিশ জানায় এই ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।

Couple police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy