প্রতীকী ছবি।
পাড়ায় পুজো মণ্ডপে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে স্বামীর নাচনাচি মোটেই পছন্দ হয়নি। তা নিয়ে রাতে ঝামেলাও হয়। পরদিন গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করলেন স্ত্রী। বুধবার পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া শহরের পানুহাটে ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে কাটোয়া থানার পুলিশ। মৃতার নাম চিন্তা দাস (২৭)।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার নবমীর রাতে দুই সন্তানকে নিয়ে পাড়ার পুজো দেখতে এসেছিলেন চিন্তা। সেখানে তিনি দেখেন, তাঁর স্বামী মিঠুন দাস পাড়ার ছেলেদের সঙ্গে উদ্দাম নাচানাচি করছেন। চিন্তার তা একেবারেই পছন্দ হয়নি। স্বামীকে ডেকে তা বলারও চেষ্টা করেছেন। কিন্তু মিঠুন শোনেননি। রাতে বা়ড়িতে এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে ঝামেলাও হয়। তার পর বুধবার দুপুরে খাওয়াদাওয়া সেরে মিঠুন ঘুমিয়ে পড়লে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেন চিন্তা। তাঁর আর্তনাদ শুনে মিঠুন ছুটে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পাড়াপ্রতিবেশীদেরও ডাকাডাকি করেন। পড়শিরা এসে কোনও মতে আগুন নিভিয়ে চিন্তাকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করলেও শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনায় মিঠুন অল্পবিস্তর অগ্নিদগ্ধ হন।
এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মিঠুন এক ডেকরেটর ব্যবসায়ীর সঙ্গে কাজ করেন। তাঁর স্ত্রীর আত্মহত্যার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। মিঠুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। চিন্তা ও মিঠুনের সম্পর্ক কেমন, আগে কখনও তাঁদের মধ্যে বড় ঝামেলা হয়েছে কি না, সে ব্যাপারে পাড়াপ্রতিবেশী এবং চিন্তার বাপেরবাড়ির পরিবারের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy