Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

আঁধার রাস্তায় গতির ধুম, পরপর দুর্ঘটনা

এ দিকে, বাসিন্দারাই জানালেন, বিপজ্জনক এই রাস্তাকে নিজেদের কাজে ব্যবহার করেন চাষিরা। পাশে মাঠ থেকে ভেজা ধান এনে রাস্তার পাশে ঝাড়ার কাজ করেন। কখনও বা রাস্তায় ধান শুকোতে দেন।

এই রাস্তাতেই বিপত্তি। নিজস্ব চিত্র

এই রাস্তাতেই বিপত্তি। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কালনা শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০১৭ ০২:৩২
Share: Save:

ঝাঁ চকচকে রাস্তায় দিনরাত ছুটে চলেছে গাড়ি। অথচ না আছে কোনও আলো, না গাড়ির গতি কমাতে কোনও স্পিড ব্রেকার। ফলে মন্তেশ্বরের জয়রামপুর সেতুর নীচে ওই রাস্তায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই রাস্তা নিয়ে প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা না নেওয়াতেই বার বার ঘটছে দুর্ঘটনা।

ডাকবাংলো মোড় থেকে কিছুটা এগিয়ে ওই বিপজ্জনক রাস্তার দু’পাশে বিস্তীর্ণ চাষের জমি। তুলনায় ফুটপাথ অনেকটাই কম। কোথাও কোথাও ফুটপাথ জুড়ে রাখা মিলের লম্বা কাঠের গুঁড়ি। কুসুমগ্রাম-মালডাঙা রোডের এই অংশে বাস, লরির মতো যানবাহন চললেও সেতু থেকে প্রায় ৩০০ মিটার এলাকা জুড়ে এই রাস্তায় কোনও আলো নেই, নেই স্পিড ব্রেকার। চোখে পড়ে না সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফের কোনও পোস্টারও। বাসিন্দারা জানান, যানজট না থাকায় চালকেরা এখানে গাড়ির গতি বাড়িয়ে দেন। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।

এ দিকে, বাসিন্দারাই জানালেন, বিপজ্জনক এই রাস্তাকে নিজেদের কাজে ব্যবহার করেন চাষিরা। পাশে মাঠ থেকে ভেজা ধান এনে রাস্তার পাশে ঝাড়ার কাজ করেন। কখনও বা রাস্তায় ধান শুকোতে দেন। এক বাসিন্দা গোপাল গড়াই জানালেন, জমি থেকে রাস্তাটি উঁচু হওয়ায় ধান শুকানো ও ঝাড়ার কাজে অনেকেই এই রাস্তা ব্যবহার করেন। ফলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি থেকেই যায়। সম্প্রতি সেতুর কাছে রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ট্রাক্টরে ধান বোঝাইয়ের কাজ চলছিল। সে সময়ে তীব্র গতিতে এসে একটি গাড়ি ধাক্কা মারে ট্রাক্টরটিকে। মৃত্যু হয় ঝাড়খণ্ডের চার জন খেতমজুরের। মাস ছয়েক আগে গাড়ির ধাক্কায় মত্যু হয় এলাকারই বাসিন্দা এক বাইক আরোহীর।

বাসিন্দারা আরও জানান, এই রাস্তার দু’পাশে কোনও বাড়ি নেই। সেতুর উপরে থাকা একমাত্র চায়ের দোকানটিও বন্ধ হয়ে যায় সন্ধ্যা ছ’টায়। ফলে অন্ধকার রাস্তাটি আরও বিপজ্জনক হয়ে পড়ে। দুর্ঘটনা ঘটলে খবর পেতেও তাই অনেক দেরি হয়ে যায়। বাসিন্দাদের দাবি, অবিলম্বে এই রাস্তার দু’পাশে আলোর ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। এ ছাড়া স্থানীয়েরাই জানালেন, নাদনঘাট থেকে কুসুমগ্রামের পথে বেশ কিছু বিপজ্জনক বাঁক রয়েছে। সেগুলিতেও বড় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে।

মহকুমা প্রশাসন সূত্রে অবশ্য জানানো হয়েছে, বিপজ্জনক রাস্তাগুলির একটি তালিকা তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার কালনার মহকুমাশাসক নীতিন সিংহানিয়া জানান, তালিকায় ওই রাস্তাটি রয়েছে কিনা দেখা হচ্ছে। এ ছাড়াও রাস্তায় আলো লাগানো এবং চাষিরা যাতে রাস্তায় কাজ না করেন, সে জন্য সচেতনেতামূলক প্রচার চালানো হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Manteswar accident prone accident street lights
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE