—প্রতীকী চিত্র।
জাল শংসাপত্রে ওষুধ ব্যবসা চালানোর অভিযোগে এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে জেলা দুর্নীতি দমন শাখা। ধৃত মহিলার নাম মালা পোদ্দার মিত্র। বর্ধমান থানার আলমগঞ্জে তাঁর বাড়ি। বুধবার সকালে তিনি দুর্নীতি দমন শাখার অফিসে আত্মসমর্পণ করেন। বুধবারই ধৃতকে বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতের হয়ে আইনজীবী কমল দত্ত ও পার্থ হাটি জামিনের সওয়ালে বলেন, ‘‘জাল ড্রাগ লাইসেন্সের সঙ্গে অভিযুক্তের কোনও সম্পর্ক নেই। অভিযুক্ত নিজেই প্রতারণার শিকার। তাঁকে জাল ড্রাগ লাইসেন্স দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে অন্য জন। এ নিয়ে মামলাও হয়েছে।’’ সরকারি আইনজীবী নারদকুমার ভুঁইঞা জামিনের তীব্র বিরোধিতা করে বলেন, ‘‘অভিযুক্ত ঘটনায় সরাসরি জড়িত।’’ দু’পক্ষের সওয়াল শুনে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে ধৃতকে ২০ জানুয়ারি ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দেন সিজেএম চন্দা হাসমত।
দুর্নীতি দমন শাখা ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের ২১ অগস্ট শহরের বীরহাটা এলাকায় একটি ওষুধের দোকানে হানা দেন ড্রাগ কন্ট্রোল দফতরের অফিসারেরা। দোকান থেকে তাঁদের ওষুধের একটি লাইসেন্স দেখানো হয়। সেটি বাজেয়াপ্ত করেন অফিসারেরা। ড্রাগ কন্ট্রোল দফতরের নথিপত্র পরীক্ষা করে দেখা যায়, সেটি জাল। এর পরেই দফতরের ইন্সপেক্টর সুমন গোস্বামী বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে জাল নথিপত্র তৈরি করে প্রতারণার ধারায় মামলা রুজু হয়। ঘটনার তদন্তভার দুর্নীতি দমন শাখাকে দেওয়া হয়। তদন্তে নেমে দুর্নীতি দমন শাখা নুর আলি শেখ ওরফে কাজল শেখকে গ্রেফতার করে। দোকানের মালিকের কাছ থেকে দু’লক্ষাধিক টাকা নিয়ে জাল লাইসেন্সটি নুর আলি তাঁকে দেন বলে জানতে পারেন দুর্নীতি দমন শাখার অফিসারেরা। স্ত্রীর অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে তিনি টাকার লেনদেন করেছেন বলে তদন্তে উঠে আসে। তাঁকে হেফাজতেও নেয় দুর্নীতি দমন শাখা। হেফাজতে নিয়ে তাঁর কাছ থেকে বেশ কিছু তথ্য পায় তদন্তকারী সংস্থা। গ্রেফতার এড়াতে আগাম জামিনের আবেদন করে অভিযুক্ত মালা। সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy