প্রেমিকের সঙ্গে পরিকল্পনা করে স্বামীকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগে এক যুবতীকে গ্রেফতার করেছে মেমারি থানার পুলিশ। ধৃতের নাম সীমা বিশ্বাস। মেমারি থানার দেবীপুরের ডিভিসি পাড়ায় তাঁর শ্বশুরবাড়ি। সেখান থেকেই বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত প্রেমিক অমিত গুঁই পলাতক।
পুলিশ জানিয়েছে, বছর চারেক আগে মেমারি থানারই মোবারকপুরের বাসিন্দা সীমার সঙ্গে ডিভিসি পাড়ার তাপস বিশ্বাসের বিয়ে হয়। তাঁদের একটি সন্তান আছে। সোমবার রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে স্ত্রী-র সঙ্গে ঘরে শুতে যান তাপস। পাশের ঘরে তাঁর দাদা স্বপন বিশ্বাস ঘুমিয়েছিলেন। রাত ১২টা নাগাদ ভাইয়ের ঘর থেকে আর্তনাদ শুনতে পান স্বপন। ভাইয়ের নাম ধরে ডাকাডাকি করলে ঘরের ভিতর থেকে তাপস ‘বাঁচাও বাঁচাও’ চিৎকার করেন। স্বপন বেশ কয়েক বার ঘরের দরজা ধাক্কা দিলেও তা খোলেনি। তিনি প্রতিবেশীদের ডাকেন। পরিবারের বাকি লোকজন ও পড়শিরা এসে শাবল দিয়ে দরজা ভেঙে দেখেন, তাপসকে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেয় পড়ে। পাশেই দাঁড়িয়ে অমিত ও সীমা।
স্বপনের দাবি, মোবারকপুরেরই বাসিন্দা অমিতের হাতে একটি ছুরি ছিল। স্বপন ভিতরে ঢুকলে তাঁকেও ছুরি চালিয়ে জখম করতে যায় অমিত। সরে গিয়ে কোনও রকমে নিজেকে বাঁচান স্বপন। বেগতিক বুঝে ছুরি দেখিয়ে পালিয়ে যায় অমিত। পিছনেই পালানোর চেষ্টা করেন সীমা। কিন্তু, প্রতিবেশীরা তাঁকে ধরে পেলে। পুলিশ জানায়, তাপসের গলায় ও মাথায় গভীর ক্ষত রয়েছে। এ ছাড়াও শরীরের বিভিন্ন অংশে কোপানোর দাগ ছিল। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে মেমারি হাসপাতাল ও সেখান থেকে বর্ধমান মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে কলকাতা নিয়ে যাওয়া হয়েছে। স্বপন পুলিশে লিখিত অভিযোগ করেন।