Advertisement
E-Paper

প্রেমিককে ডেকে স্বামীকে কোপ

স্বপনের দাবি, মোবারকপুরেরই বাসিন্দা অমিতের হাতে একটি ছুরি ছিল। স্বপন ভিতরে ঢুকলে তাঁকেও ছুরি চালিয়ে জখম করতে যায় অমিত। সরে গিয়ে  কোনও রকমে নিজেকে বাঁচান স্বপন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০১৮ ০৮:১০
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

প্রেমিকের সঙ্গে পরিকল্পনা করে স্বামীকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগে এক যুবতীকে গ্রেফতার করেছে মেমারি থানার পুলিশ। ধৃতের নাম সীমা বিশ্বাস। মেমারি থানার দেবীপুরের ডিভিসি পাড়ায় তাঁর শ্বশুরবাড়ি। সেখান থেকেই বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত প্রেমিক অমিত গুঁই পলাতক।

পুলিশ জানিয়েছে, বছর চারেক আগে মেমারি থানারই মোবারকপুরের বাসিন্দা সীমার সঙ্গে ডিভিসি পাড়ার তাপস বিশ্বাসের বিয়ে হয়। তাঁদের একটি সন্তান আছে। সোমবার রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে স্ত্রী-র সঙ্গে ঘরে শুতে যান তাপস। পাশের ঘরে তাঁর দাদা স্বপন বিশ্বাস ঘুমিয়েছিলেন। রাত ১২টা নাগাদ ভাইয়ের ঘর থেকে আর্তনাদ শুনতে পান স্বপন। ভাইয়ের নাম ধরে ডাকাডাকি করলে ঘরের ভিতর থেকে তাপস ‘বাঁচাও বাঁচাও’ চিৎকার করেন। স্বপন বেশ কয়েক বার ঘরের দরজা ধাক্কা দিলেও তা খোলেনি। তিনি প্রতিবেশীদের ডাকেন। পরিবারের বাকি লোকজন ও পড়শিরা এসে শাবল দিয়ে দরজা ভেঙে দেখেন, তাপসকে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেয় পড়ে। পাশেই দাঁড়িয়ে অমিত ও সীমা।

স্বপনের দাবি, মোবারকপুরেরই বাসিন্দা অমিতের হাতে একটি ছুরি ছিল। স্বপন ভিতরে ঢুকলে তাঁকেও ছুরি চালিয়ে জখম করতে যায় অমিত। সরে গিয়ে কোনও রকমে নিজেকে বাঁচান স্বপন। বেগতিক বুঝে ছুরি দেখিয়ে পালিয়ে যায় অমিত। পিছনেই পালানোর চেষ্টা করেন সীমা। কিন্তু, প্রতিবেশীরা তাঁকে ধরে পেলে। পুলিশ জানায়, তাপসের গলায় ও মাথায় গভীর ক্ষত রয়েছে। এ ছাড়াও শরীরের বিভিন্ন অংশে কোপানোর দাগ ছিল। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে মেমারি হাসপাতাল ও সেখান থেকে বর্ধমান মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে কলকাতা নিয়ে যাওয়া হয়েছে। স্বপন পুলিশে লিখিত অভিযোগ করেন।

পুলিশ জেনেছে, বিয়ের আগে থেকেই অমিতের সঙ্গে সীমার সম্পর্ক ছিল। কিন্তু, পরিবারের চাপে সীমা তাপসকে বিয়ে করেন। অমিতের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কে ছেদ পড়েনি। পুলিশের দাবি, জেরায় সীমা জানিয়েছেন, কিছুদিন আগে তিনি ও অমিত মিলে তাপসকে খুনের পরিকল্পনা করেন। বুধবার রাতে তাপস ঘুমিয়ে পড়লে দরজা খুলে অমিতকে ভিতরে আনেন সীমা। ছুরি দিয়ে তাঁকে খুনের চেষ্টা হয়। কিন্তু, দাদা জেগে যাওয়ায় সে উদ্দেশ্য সফল হয়নি। বৃস্পতিবার সীমাকে বর্ধমান আদালতে তোলা হয়। যদিও তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেনি পুলিশ। ওই যুবতীর হয়ে কোনও আইনজীবীও এ দিন দাঁড়াননি। ৭ অগস্ট পর্যন্ত ধৃতের জেল-হাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।

Murder Memari Husband Wife
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy