Advertisement
১৯ মে ২০২৪

মহিলা কাউন্সিলর প্রহৃত

পুরসভার মহিলা কাউন্সিলর ও তাঁর ছেলেকে মারধরের অভিযোগ উঠল দুর্গাপুরের সগড়ভাঙায়। মঙ্গলবার রাতে ওই ঘটনার পিছনে শাসকদলের কোন্দল রয়েছে বলেও অভিযোগ।

আহত শেফালিদেবী। নিজস্ব চিত্র

আহত শেফালিদেবী। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০১৭ ০১:১৩
Share: Save:

পুরসভার মহিলা কাউন্সিলর ও তাঁর ছেলেকে মারধরের অভিযোগ উঠল দুর্গাপুরের সগড়ভাঙায়। মঙ্গলবার রাতে ওই ঘটনার পিছনে শাসকদলের কোন্দল রয়েছে বলেও অভিযোগ। শেফালি চট্টোপাধ্যায় নামে ওই কাউন্সিলর তথা বরো চেয়ারম্যান তৃণমূলের দুর্গাপুর ৩ ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি সুনীল চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী। তিনি দুর্গাপুর হাসপাতালে ভর্তি।

তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, সুনীলবাবু দলের অন্দরে প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা শহরের মেয়র অপূর্ব মুখোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন। বিধানসভা ভোটে অপূর্ববাবু হেরে যাওয়ার পরে সংগঠনে বড়সড় রদবদল হয়। সুনীলবাবুকে সরিয়ে ওই ব্লকে সভাপতি করা হয় ভীমসেন মণ্ডলকে। সুনীলবাবুকে জেলা কোর কমিটির সদস্য করে দল। তার পর থেকেই এলাকায় প্রাক্তন ও বর্তমান সভাপতির অনুগামীদের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। দলের বিভিন্ন কর্মসূচি দু’পক্ষ আলাদা ভাবেও পালন করে।

জেলা ভাগ উদযাপন করতে বুধবার থেকে শিল্পাঞ্চলে তিন দিন ধরে মিছিল সহ নানা কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। তার আগেই মঙ্গলবার বিকেলে সগড়ভাঙায় মিছিল করেন সুনীলবাবুর অনুগামীরা। অভিযোগ, রাতে মিছিলে থাকা কয়েক জনের উপরে হামলা হয়। সামাল দিতে গিয়ে প্রহৃত হন শেফালিদেবী। তাঁর অভিযোগ, ‘‘দলের জেলা সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় দেখে নেবেন বলে হুমকি দেন। তার পরেই রাতে ৩০-৪০ জন হামলা চালায়। ভীমসেন মণ্ডল ও তাঁর লোকজন বাঁশ, রড নিয়ে হামলা চালিয়েছে।’’ তাঁর ছেলে অভিজিৎকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

রাতেই শেফালিদেবীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় পুলিশের টহল দিচ্ছে। সুনীলবাবুরও অভিযোগ, ‘‘জেলা সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়ের প্রশ্রয়ে দলের নাম করে যা ইচ্ছে তাই করে বেড়াচ্ছেন ভীমসেন ও তাঁর লোকজন। আমাদের উপরে হামলা হল। এমনকী, এক রাউন্ড গুলিও ছোড়া হয়। থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।’’

পুলিশ অবশ্য গুলি ছোড়ার কথা মানতে চায়নি। থানায় কোনও লিখিত অভিযোগও জমা পড়েনি বলে দাবি পুলিশের। ফোন বন্ধ থাকায় ভীমসেনবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর অনুগামী মনোজ মুখোপাধ্যায় দাবি করেন, ‘‘অভিজিৎ সঙ্গীদের নিয়ে এলাকায় অসামাজিক কাজকর্ম করে। নিজেদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। সেটাই এখন আমাদের উপরে চাপাতে চাইছে।’’ তৃণমূলের দুর্গাপুর জেলা সভাপতি উত্তমবাবু অবশ্য বলেন, ‘‘আমি কাউকে কোনও হুমকি দিইনি। সুনীলবাবু আমাকে জানিয়েছেন, একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। সেটা মিটিয়ে ফেলাই ভাল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Woman Councilor Beaten
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE