অলঙ্করণ: শৌভিক দেবনাথ।
চলন্ত বাসে এক যুবক তাঁর সঙ্গে অসভ্যতা করছে বলে কন্ডাক্টরকে জানিয়েছিলেন মহিলা। কিন্তু কন্ডাক্টর বা বাসের অন্য যাত্রীরা কেউ প্রতিবাদ করেননি বলে তাঁর অভিযোগ। আরও কয়েক কিলোমিটার আসার পরে বর্ধমান স্টেশনের আগে উড়ালপুলের মুখে বর্ধমান-কাটোয়া রুটের ওই বাসটি দাঁড়াতেই সোজা কর্তব্যরত ট্র্যাফিক পুলিশের কাছে হাজির হয়ে যান তিনি। ওই যুবককে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। পরে বর্ধমান থানায় দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলকোটের নতুনহাটের যুবক রাজেশ সাহাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে মঙ্গলকোটের কৈচর থেকে বাসে উঠেছিলেন বছর চল্লিশের ওই মহিলা। তাঁর স্বামী একটি মামলায় বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে জেল-হাজতে রয়েছেন। তাঁর সঙ্গে দেখা করতেই এসেছিলেন তিনি। আর অভিযুক্ত রাজেশ ভাতারের নর্জা মোড় থেকে ওই বাসে উঠেছিলেন। ওই মহিলার অভিযোগ, ‘‘বাসে ওঠার পরে আমার পিছনে দাঁড়ায় ছেলেটি। তারপর থেকে সমানে নোংরামি করছিল। বেশ কয়েকবার বারণ করলেও শোনেনি। কন্ডাক্টরকে বলতে গেলে তিনি জানিয়ে দেন, আপনাদের সমস্যা আপনারা মিটিয়ে নেন।’’
ওই মহিলা পুলিশকে জানিয়েছেন, কারও কাছে সাহায্য না পেয়ে অসহায় বোধ করছিলেন তিনি। তারপর নিজেই নিজেকে বোঝান, না কেঁদে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে। বর্ধমানে বাস ঢুকলেই চিৎকার করে পুলিশ ডাকার পরিকল্পনাও করেন। তিনি বলেন, ‘‘শেষে আর সহ্য করতে পারছিলাম না। বর্ধমান স্টেশনের কাছে বাস দাঁড়াতেই নেমে পড়ি। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা অনেকেই সাহায্য করেন। তাঁদের সাহায্যেই ট্র্যাফিক পুলিশকে ঘটনাটি জানাই।’’ পরে বর্ধমান থানার পুলিশ এসে অভিযোগকারিণী ও অভিযুক্তকে থানায় নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: সমাবেশ নিয়ে প্রকাশ্যেই টক্কর দিলীপ-কৈলাসে
বর্ধমানের আইসি তুষারকান্তি করের দাবি, ‘‘ওই যুবক আমাদের কাছে ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। লজ্জাজনক ঘটনা। আমরা সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করে নিয়েছি।’’ যদিও সংবাদমাধ্যমকের কাছে ধৃতের দাবি, ‘‘আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমি ভিক্ষা করতে বেরিয়েছি।’’ পুলিশকর্মীদের অবশ্য দাবি, ধৃতের হাবভাব বা পোশাক দেখে ভিক্ষুক বলে মনে হচ্ছে না। আজ, শনিবার ধৃতকে আদালতে তোলার কথা।
আরও পড়ুন: বেগড়বাঁই দেখলেই হাজির ভুক্তভোগী প্রতিমা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy