Advertisement
২১ মে ২০২৪

দিঘিতে বধূর দেহ, খুনে অভিযুক্ত স্বামী

মাস পাঁচেক আগে মন্তেশ্বরের কসা গ্রামের কৃষ্ণলাল রজক ওরফে অসুরের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল অঞ্জুর। বিয়ের আগে থেকেই তাঁরা পরস্পরকে চিনতেন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মন্তেশ্বর শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০১৭ ০৩:৪৩
Share: Save:

বাপেরবাড়িতে এসে রহস্য জনক ভাবে নিখোঁজ হয়েছিলেন এক মহিলা। খোঁজ মিলছিল না তাঁর স্বামীরও। মঙ্গলবার বাড়ির সামনের একটি দিঘি থেকে দেহ মিলল ওই মহিলার।

মৃত বধূ অঞ্জু রজকের (১৮) মা, মন্তেশ্বরের দেনুড় গ্রামের বাসিন্দা সন্তোষী মণ্ডল বুধবার থানায় লিখিত অভিযোগ করে জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকে মেয়ের উপর কখনও টাকা চেয়ে, কখনও অন্য কোনও ছুতোয় শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার চালাত তাঁর স্বামী এবং শাশুড়ি। পুলিশ অভিযুক্ত শাশুড়ি বেলু রজককে গ্রেফতারও করেছে।

মাস পাঁচেক আগে মন্তেশ্বরের কসা গ্রামের কৃষ্ণলাল রজক ওরফে অসুরের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল অঞ্জুর। বিয়ের আগে থেকেই তাঁরা পরস্পরকে চিনতেন। তবে বিয়েতে ছেলের মা গোড়া থেকেই রাজি ছিলেন না বলে দাবি অঞ্জুর পরিবারের। সন্তোষীদেবী পুলিশকে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকেই মেয়ের উপর অত্যাচার চালাত শাশুড়ি। জামাইও মায়ের অন্যায়ের প্রতিবাদ না করে সমর্থন করত। রবিবার শ্বশুরবাড়িতে অশান্তি হওয়াই স্বামীকে নিয়ে বাপেরবাড়ি চলে আসেন অঞ্জু। রাতে সেখানেই ছিলেন।

সন্তোষীদেবী জানান, রাতের খাওয়া-দাওয়ার পরে একটি ঘরে শুয়ে পড়ে মেয়ে-জামাই। রাত একটা নাগাদ দু’জনে এক বার ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। তবে কিছুক্ষণ পরে ফিরেও আসে। ঘণ্টাখানেক পর ফের দু’জনে ঘরের বাইরে যায়। সন্তোষীদেবীর দাবি, বাড়িতে শৌচাগার না থাকায় তাঁরা ভেবেছিলেন শৌচকর্ম করতে বাইরে গিয়েছে মেয়ে-জামাই। প্রথমে সন্দেহ না হলেও দীর্ঘ ক্ষণ তাঁরা না ফেরায় স্বামী মনি মণ্ডলকে সঙ্গে নিয়ে তাঁদের খোঁজ শুরু করেন সন্তোষীদেবী। সন্তোষীদেবীর দাবি, সোম ও মঙ্গলবার আত্মীয়, বন্ধুদের বাড়ি-সহ নানা জায়গায় মেয়ে-জামাইয়ের খোঁজ করেছেন তাঁরা। কোনও হদিস না পেয়ে মঙ্গলবার একটি নিখোঁজ ডায়েরিও করেন। তারপরেই বুধবার সকালে বাড়ির কাছে দিঘিতে মেয়ের মৃতদেহ ভাসতে দেখা যায়। তবে জামাইয়ের খোঁজ মেলেনি। মণ্ডল পরিবারের অভিযোগ, পরিকল্পনা করে মেয়েকে খুন করে দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে পুকুরে।

এ দিন দেহটি উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়। কালনার এসডিপিও প্রিয়ব্রত রায় বলেন, ‘‘মৃতার শাশুড়িকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্বামীর খোঁজ চলছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE