Advertisement
E-Paper

দরপত্রে সাড়া নেই, বিভাগ বন্ধে বিক্ষোভ

দরপত্র ডাকা হলেও নতুন কোনও সংস্থা আগ্রহ দেখায়নি। পুরনো সংস্থা কাজ চালিয়ে যেতে রাজি না হওয়ায় সোমবার থেকে কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে সেল গ্রোথ ডিভিশনের কুলটি কারখানার মেশিনশপ বিভাগে। প্রতিবাদে এ দিন কারখানার গেটে বিক্ষোভ দেখান শ্রমিক-কর্মীরা। কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবি, এর জেরে সাময়িক সমস্যা হলেও তা কাটিয়ে ওঠা যাবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৬ ০২:০৩
গেটে জমায়েত শ্রমিক-কর্মীদের। —নিজস্ব চিত্র।

গেটে জমায়েত শ্রমিক-কর্মীদের। —নিজস্ব চিত্র।

দরপত্র ডাকা হলেও নতুন কোনও সংস্থা আগ্রহ দেখায়নি। পুরনো সংস্থা কাজ চালিয়ে যেতে রাজি না হওয়ায় সোমবার থেকে কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে সেল গ্রোথ ডিভিশনের কুলটি কারখানার মেশিনশপ বিভাগে। প্রতিবাদে এ দিন কারখানার গেটে বিক্ষোভ দেখান শ্রমিক-কর্মীরা। কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবি, এর জেরে সাময়িক সমস্যা হলেও তা কাটিয়ে ওঠা যাবে।

কারখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, সংস্থার মেশিনশপ বিভাগে একটি ঠিকাদার সংস্থার অধীনে কাজ করেন প্রায় ৭০ জন শ্রমিক-কর্মী। সংস্থাটি গত পাঁচ বছর ধরে সেখানে কাজ করছে। শনিবার সেই সংস্থার চুক্তির মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে। সেল গ্রোথ ডিভিশনের কুলটি কারখানার ডিজিএম জিতেন্দ্র কুমার বলেন, ‘‘আমরা ঠিক সময় মতোই দরপত্র ডেকেছিলাম। কিন্তু বর্তমান ঠিকা সংস্থাটি ছাড়া নতুন আর কোনও সংস্থা কাজের বরাত পাওয়ার জন্য আবেদন জমা দেয়নি। ফলে, নিয়ম মতো দরপত্র ডাকার প্রক্রিয়াটি বাতিল করতে হয়েছে।’’ তিনি জানান, এই পরিস্থিতিতে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঠিকাদার সংস্থাকেই আরও দু’মাস কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ হয়েছিল। কিন্তু তারা রাজি না হওয়ায় ওই বিভাগের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

কেন তাঁরা আপাতত কাজ চালিয়ে গেলেন না, সে প্রশ্নে ওই ঠিকাদার সংস্থার মালিক কানু রায়ের অভিযোগ, ‘‘শ্রমিক-কর্মীরা বেতন বাড়ানোর দাবি তুলে বিক্ষোভ শুরু করেছেন। বেতন না বাড়ানো হলে তাঁরা কাজে যোগ দেবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। অথচ, কারখানা কর্তৃপক্ষ পুরোন চুক্তিতেই কাজ করাতে চাইছেন। তাই আমার পক্ষে আর কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’’

তবে সোমবার থেকে মেশিনশপ বিভাগের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শ্রমিক-কর্মীরা সকাল থেকে কারখানার গেটে বিক্ষোভ শুরু করেন। অবিলম্বে এই বিভাগের উৎপাদন চালু করতে হবে বলে দাবি তাঁদের। কিন্তু সেই সঙ্গে বেতন বৃদ্ধিরও দাবি তুলেছেন তাঁরা। বিক্ষোভকারী শ্রমিকদের নেতা বারিন সরকারের বক্তব্য, ‘‘বেতন বৃদ্ধি করেই উৎপাদন চালু করতে হবে। এক জনও শ্রমিককে ছাঁটাই করা যাবে না।’’ বেতন না বাড়ালে উৎপাদন চালু করতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিক্ষোভকারী শ্রমিক-কর্মীরা।

এই পরিস্থিতিতে কারখানা জুড়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। কারখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, সংস্থার অন্য বিভাগের উৎপাদিত সামগ্রী মেশিনসপে এনে সরবরাহের উপযোগী করে তোলা হয়। ফলে, এই বিভাগের কাজ বন্ধ থাকলে সংস্থার অন্য বিভাগগুলিতে উৎপাদিত জিনিস বাজারে পাঠানো যাবে না। কারখানা সাময়িক সঙ্কটে পড়বে। সংস্থার ডিজিএম জিতেন্দ্র কুমার অবশ্য দাবি করেন, সাময়িক সমস্যা হলেও তা কাটিয়ে ওঠা যাবে। সেক্ষেত্রে মেশিনশপ বিভাগের কাজ বাইরের কোনও বেসরকারি সংস্থায় পাঠিয়ে করিয়ে নিতে হবে।

Work Stopped Kulti Factory Kulti
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy