ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে দুর্ঘটনা, মৃত যুবক

রাতভর ঠাকুর-দর্শন করে মোটরবাইকে করে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়লেন এক দম্পতি। মঙ্গলবার, ষষ্ঠীর ভোরে বর্ধমান পুলিশ লাইনের কাছে ওই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় অরিন্দম দে-র (৩০)। তাঁর বাড়ি শহরের জগৎবেড় এলাকায়। তাঁর স্ত্রী দীপাদেবী কলকাতার এক হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন।

পুলিশের অনুমান, বেপরোয়া একটি মোটরবাইক তাঁদের ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। পড়ে গিয়ে জোর আঘাত পান দম্পতি। তাঁদের মাথায় হেলমেট ছিল কি না, খোঁজ নিয়ে দেখছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আট মাস আগে অরিন্দমবাবু ও দীপাদেবীর বিয়ে হয়। পঞ্চমীর রাতে তাঁরা মোটরবাইক নিয়ে প্রতিমা দর্শনে বেরোন। পরিজনদের ধারণা, ওই দম্পতি দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে ধরে কোনও গ্রামে পুজো দেখতে গিয়েছিলেন। উল্লাস মোড় হয়ে বাড়ি ফেরার সময়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

মৃতের কাকা দীপক দে জানান, ভোরেই তাঁরা দুর্ঘটনার খবর পান। ঘটনাস্থলে এসে তাঁরা জেনেছেন, উল্টো দিক থেকে আসা একটি মোটরবাইক দ্রুতগতিতে এসে অরিন্দমদের ধাক্কা মেরে পালায়।

পুলিশ জানায়, আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। দু’টি অ্যাম্বুল্যান্সে দু’জনকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের উপরে পালশিট টোলপ্লাজার কাছে অরিন্দমবাবুর অবস্থা সঙ্কটজনক হলে, তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ফিরিয়ে আনা হচ্ছিল। রাস্তাতেই অরিন্দমবাবু মারা যান।

মৃতের ভাই অনিমেষের দাবি, ‘‘বউদির অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এমন ঘটনা ঘটবে, দুঃস্বপ্নেও ভাবিনি।’’ মৃতের কাকা দীপক দে বলেন, ‘‘বউকে নিয়ে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে অরিন্দমের নিথর দেহ ফিরে আসবে, ভাবতে পারছি না।’’ তাঁদের প্রশ্ন, ভোরে ফাঁকা রাস্তায় এমন দুর্ঘটনা ঘটল কী ভাবে? পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখবে বলে জানিয়েছে।

উৎসবের মরসুমে এমন মর্মান্তিক ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দা রতন দাসের কথায়, ‘‘সোমবার বিকেলেও অনেক গল্প হয়েছে। এলাকায় সবাই খুব বিমর্ষ।’’