সিভিক ভলান্টিয়ারের মার। —নিজস্ব চিত্র।
রাস্তার পাশে এক যুবককে হেলমেট দিয়ে বেধড়ক মারছেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। লাথি-চড়ও চলছে। ঘটনাটা ঘটছে এক পুলিশকর্মীর সামনে! এক মিনিট ১৯ সেকেন্ডের এমনই এক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়াতে শুরু করেছিল বুধবার থেকে। প্রহৃত যুবক লিখিত অভিযোগ না করলেও ভিডিওটি নজরে এসেছে দুর্গাপুর পুলিশ-প্রশাসনের। আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের ডিসি (পূর্ব) অভিষেক মোদী বলেন, ‘‘তদন্ত হচ্ছে।’’
বুধবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে দুর্গাপুরের গাঁধী মোড়ে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে নির্মীয়মাণ উড়ালপুলের কাছে। ভিডিওতে প্রথমে দেখা যায়, এক সিভিক ভলান্টিয়ার এক যুবককে আটকে রেখেছেন। সেখানে হাজির রয়েছেন এক পুলিশকর্মীও। যুবকটি থানায় যাওয়ার কথা বলছেন। তার পরেই লাল রঙের মোটরবাইকে চেপে সেখানে এসে আর এক সিভিক ভলান্টিয়ার হেলমেট দিয়ে ওই যুবককে মারধর শুরু করেন। লাথি-চড়-ঘুষিও মারেন। সঙ্গে গালিগালাজ।
ঘটনার সূত্রপাত মুচিপাড়া মোড়ে। একটি ট্রাক ট্র্যাফিক আইন ভেঙে পালানোর চেষ্টা করার সময়ে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের মোটরবাইকে ধাক্কা দেয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে গাঁধী মোড়ে ট্রাকটিকে আটকায় পুলিশ। তার পরেই সেখানে ট্রাকের আরোহী ওই যুবককে মারধরের ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার বিপ্লব রুইদাস অবশ্য দুর্গাপুরের নিউটাউনশিপ থানায় অভিযোগ করেছেন, আইন ভেঙে ট্রাকটিকে পালাতে বাধা দেওয়ায় তাঁকে ট্রাকের আরোহী ওই যুবক মারধর করেন। কিন্তু সিভিক ভলান্টিয়ার মারধর করে আইন ভাঙবেন কেন, ফেসবুকে ভিডিওটি দেখে প্রশ্ন তোলেন অনেকেই। কেনই বা পরে ট্রাকটির বিরুদ্ধে আইন ভাঙার অভিযোগ না করে সেটিকে ছেড়ে দেওয়া হল বা যে পুলিশকর্মী সেখানে হাজির ছিলেন, তিনি কেন হস্তক্ষেপ করলেন না—প্রশ্ন উঠেছে। মহকুমাশাসক (দুর্গাপুর) শঙ্খ সাঁতরা জানান, ভিডিওটি নজরে আসতেই পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।
দুর্গাপুরের অনেক মোটরবাইক ও গাড়ি চালকের ক্ষোভ, এলাকার পথেঘাটে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ‘দুর্ব্যবহার’ নতুন নয়। কখনও গাড়ির নথি পরীক্ষার নামে হেনস্থা, কখনও টাকা না পেয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে আগেও। বিপ্লববাবুর সঙ্গে এ দিন বারবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy