প্রকাশ্যে হাঁসুয়ার কোপে খুন করা হল এক যুবককে। পূর্বস্থলী ২ ব্লকের ন’মাথার মোড়ে বুধবার সকালে অভিযুক্ত যুবককে ধরে ফেলেন আশপাশের লোকজন। মারধর করে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বিবাহ বহিভূর্ত সম্পর্কে টানাপড়েনের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে।
মুকসিমপাড়া পঞ্চায়েতের কেশববাটী গ্রামের বাসিন্দা খোকন মোল্লা (২৭) বছর তিনেক ধরে পাটুলি থেকে মহাদেবপুর রুটে অটো চালাতেন। স্থানীয় নানা সূত্রের দাবি, উত্তর শ্রীরামপুরের বাসিন্দা সত্য অধিকারীর স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। তিন ছেলেমেয়েকে নিয়ে বাড়িও ছাড়েন ওই মহিলা। এলাকাবাসীর দাবি, তাঁদের নদিয়ার বেথুয়াডহরিতে একটি ভাড়া বাড়িতে রাখেন খোকন। তার পর থেকেই বছর পঁয়ত্রিশের সত্যর সঙ্গে খোকনের বিবাদ চলছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ন’মাথা মোড়ের আশপাশে সত্য কখনও আখ, কখনও ডাব বিক্রি করে। এ দিন সে রাস্তার পাশে ডাব বিক্রি করছিল। সঙ্গে ছিল ধারাল হাঁসুয়া। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন অটো চালিয়ে যাতায়াত করতেন খোকন। এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ খোকনের অটো যাত্রী নিয়ে ন’মাথার মোড়ে পৌঁছয়। অভিযোগ, তার পরেই সত্য দ্রুত অটোর কাছে গিয়ে কিছু বুঝে ওঠার আগে হাঁসুয়া দিয়ে খোকনের গলায় কোপ মারে। আশপাশের লোকজন দ্রুত খোকনকে কাটোয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলেও সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরেই আশপাশ থেকে লোকজন দৌড়ে গিয়ে সত্যকে পাকড়াও করেন। বেধড়ক মারধর করা হয় তাকে। পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে পূর্বস্থলী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করায়। ঘটনার পরে এলাকার কিছু লোকজন এসটিকেকে রোড অবরোধও করেন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
খোকনের কাকা লুতফর মোল্লা পূর্বস্থলী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। তবে নিহতের ভাই আলমগির মোল্লা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে খুনের কথা মানতে চাননি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘রুটে অটো চালানো নিয়ে দাদার সঙ্গে সত্যর ঝামেলা হয়েছিল। সেই আক্রোশেই খুন করেছে সে।’’ এসডিপিও (কালনা) শান্তনু চৌধুরী বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’