Advertisement
E-Paper

ভিন্‌ রাজ্যে পথে রক্তাক্ত দেহ যুবকের, খুনের অভিযোগ পরিবারের

জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘ওই ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে বলে শুনেছি। সুরাত সিটি পুলিশ তদন্তও করছে। তবে বিষয়টি আমাদের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না বলে কোনও তদন্ত করছি না।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:১৬
সামসুদ্দিন আলি।

সামসুদ্দিন আলি।

আট বছর ধরে গুজরাতের সুরাতে কাজ করছিলেন জামালপুরের যুবক। শনিবার গ্রামে এল তাঁর মৃতদেহ। সাহাপুর গ্রামের ওই পরিবারের দাবি, খুন করা হয়েছে তাঁদের ছেলে সামসুদ্দিন আলি (৪৩)কে। তবে খুনের কারণ নিয়ে কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ।

জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘ওই ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে বলে শুনেছি। সুরাত সিটি পুলিশ তদন্তও করছে। তবে বিষয়টি আমাদের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না বলে কোনও তদন্ত করছি না।’’ তবে পুলিশের দাবি, ময়না-তদন্তে চিকিৎসক জানিয়েছেন ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সামসুদ্দিনের হৃদযন্ত্র ও বাঁ দিকের ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই কারণেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।

জেলা পুলিশ ও মৃতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল ৬টার সময় কাজে যাওয়ার জন্য সাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান সামসুদ্দিন। ওই দিনই সুরাতের সোমা কাঞ্জি এলাকায় ইউএম রাস্তার উপর থেকে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে স্থানীয় খতোদ্রা থানার পুলিশ। দেহের পাশ থেকে সাইকেলটিও মেলে। জানা গিয়েছে, অজ্ঞাতপরিচয় দেহ হিসেবে স্থানীয় নিউ সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় দেহটি। সেখানেই ময়না-তদন্ত হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, ময়না-তদন্তের সময় সামসুদ্দিনের পকেটে একটি চিরকূট পাওয়া যায়। সেই সূত্র ধরেই পুলিশ মৃতের পরিজনদের খবর পাঠায়।

সামসুদ্দিনের সঙ্গে তাঁর ভাই শেখ রফিক আলিও ওই কারখানায় এম্ব্রয়ডারির কাজ করেন। শনিবার নিজের বাড়িতে দাঁড়িয়ে তাঁর দাবি, “দাদা সকালে কাজে বেরিয়ে গিয়েছিল। আমার যাওয়ার কথা ছিল বেলা ১১টায়। খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি, ৫-৬ জন মিলে দাদার রাস্তা আটকায়। সাইকেল থেকে ফেলে খুন করা হয় দাদাকে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের ওখানে কোনও শত্রুতা ছিল না। বরং এত দিন কাজ করার সুবাদে পরিচিত হয়ে গিয়েছিলেন অনেকেই। কেন এ রকম হল, বুঝতে পারছি না।’’ সুরাত পুলিশকে বিশদ জানিয়েছেন তাঁরা।

দু’বছর আগে বিয়ে হয় সামসুদ্দিনের। ন’মাসের একটি শিশুসন্তানও রয়েছে। এ দিন ছেলে কোলে নিয়ে মৃতের স্ত্রী আঙ্গুরা বিবির দাবি, “বিয়ের পর আমি সুরাতেই থাকতাম। আমাদের বাড়ির সামনেই দু’জন আমাকে উক্ত্যক্ত করত। এ নিয়ে আমাদের সঙ্গে অশান্তিও হয়। সেই সময় কয়েকজন আমার স্বামীকে রাস্তায় একা পেলে মেরে খুন করার হুমকি দিয়েছিল। তাঁরাই আমার এমন সর্বনাশ করল কি না বুঝতে পারছি না।’’ ওই ঘটনার পরে আঙ্গুরা বিবি এক বছর ধরে জামালপুরেই রয়েছেন। মেমারির হাটবাস্কা গ্রামের নাজির শেখও সামসুদ্দিনের সঙ্গে কাজ করতেন। তাঁর দাবি, “চার-পাঁচ বছর ধরে সামসুদ্দিনকে চিনি। একসঙ্গে কাজ করতাম। এক মাস আগে আমি বাড়ি এসেছি। বুধবার আমার কাছে সামসুদ্দিনের মৃত্যুর খবর আসে। ছিনতাই করার জন্যে না খুন করার জন্যেই হামলা করা হয়েছিল, বুঝে উঠতে পারছি না।’’

Death Youth Police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy