বধূহত্যার মামলায় এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল কালনা আদালত। সঙ্গে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে পাঁচ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশও দেওয়া হয়। শুক্রবার এই রায় ঘোষণা করেন অতিরিক্ত জেলা এবং দায়রা বিচারক তপনকুমার মণ্ডল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিয়ের পর থেকেই মেয়ে শ্রাবণীর উপর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাত বলে অভিযোগ করেন কালনা ১ ব্লকের বিজেরা গ্রামের বাসিন্দা নবকুমার ঘোষ। বারবার টাকা দাবি করা হতো বলেও জানান তিনি। ২০০৮-এর ২৩ জুলাই নবকুমারবাবু জানতে পারেন, মেয়ে অসুস্থ অবস্থায় কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি। সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। মাথার উপরে কাস্তের আঘাত রয়েছে। এরপরেই মেয়েকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করে জামাই অশোক, মেয়ের দুই দেওর দেবাশিস ঘোষ, আশিস ঘোষ এবং শাশুড়ি ইন্দ্রাণী ঘোষের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। আদালত ওই বধূর স্বামীকে দোষী সাব্যস্ত করে। বিচার চলাকালীন আদালতে এক জন গোপন জবানবন্দী দেন। এই মামলার সরকারি আইনজীবী আজাম্মেল হক মল্লিক জানান, চিকিৎসক, তদন্তকারী অফিসার-সহ মোট ১৪ জনের সাক্ষ্য নিয়েছে আদালত।
এ দিনই স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামীকে গ্রেফতার করল কাটোয়া থানার পুলিশ। গত সপ্তাহে রামকৃষ্ণপুরের বাসিন্দা রমজান শেখ অভিযোগ করেন, তাঁর বছর পঁচিশের ভাইজি আজমিরা বিবির সাথে বছর তিনেক আগে বিয়ে হয় পেঁকুয়ার মহম্মদ আলির। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই নানা কারনে আজমিরার উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত শ্বশুরবাড়ির লোকজন। গত ১৯শে এপ্রিল মহম্মদ ও তার পরিবারের লোকেরা আজমিরার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় বলেও অভিযোগ। দিন দশেক পরে বর্ধমান মেডিক্যালে কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। সপ্তাহ খানেক আগে আজমিরার শ্বশুর, ভাসুর ও এক দেওরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার সকালে মূল অভিযুক্ত বছর আঠাশের মহম্মদকেও গ্রেফতার করা হয়। ধৃতকে এ দিন আদালতে তোলা হলে তিন দিনের পুলিশ হেফাজত হয়।