কলকাতা যাওয়ার পথে যুবককে অপহরণ করে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করছে দুষ্কৃতীরা, অভিযোগ করল পরিবার। তন্ময় ভট্টাচার্য নামে বছর পঁয়ত্রিশের ওই যুবকের বাড়ি ভাতারের কুবাজপুর গ্রামে।
শুক্রবার বিকেলে ভাতার থানায় এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করেন তন্ময়বাবুর বাবা, অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক বাসুদেব ভট্টাচার্য। তাঁর সন্দেহ, ছেলেকে অপহরণের ঘটনায় পরিচিত কারও হাত রয়েছে। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নানা নম্বর থেকে ফোন এসেছিল অপহৃতের পরিবারের কাছে। সেই নম্বরগুলি সাইবার ক্রাইম বিভাগে পাঠিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। অপহৃত যুবক ধান ব্যবসা করতেন। ব্যবসা সংক্রান্ত কোনও গোলমাল ছিল কি না, দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তন্ময়বাবু আরএসএসের সঙ্গে জড়িত। বাসুদেববাবু এ দিন পুলিশকে জানান, বুধবার দুপুরে বাড়ি থেকে মোটরবাইক নিয়ে ভাতার বাজারে যান তন্ময়। সেখানে মোটরবাইক রেখে কলকাতা যাওয়ার কথা ছিল। সন্ধ্যায় কলকাতা পৌঁছে বাড়িতে ফোন করবেন বলে জানিয়েছিলেন। বাসুদেববাবু অভিযোগ করেন, রাত পর্যন্ত ফোন না আসায় তাঁরাই ছেলের মোবাইলে ফোন করেন। কিন্তু কোনও ভাবেই যোগাযোগ করতে পারেননি। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগাদ ছেলের মোবাইল থেকেই একটি ফোন আসে। তাতে এক অপরিচিত একটি পুরুষকণ্ঠ জানায়, তন্ময় তাদের কব্জায় রয়েছে। পাঁচ লক্ষ টাকা পাঠালে তবেই ছেলেকে ফেরত পাওয়া যাবে।
বাসুদেববাবু জানান, সে দিন বিকেলে ওই নম্বর থেকেই আবার ফোন আসে। তখন হুমকি দিয়ে আট লক্ষ টাকা চাওয়া হয়। না হলে ছেলেকে খুন করে ফেলা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। বাসুদেববাবুর কথায়, ‘‘তার পর থেকে কখনও আমাকে, কখনও আমার স্ত্রীকে ফোন করে আট-ন’বার হুমকি দেওয়া হয়েছে। প্রতি বারেই টাকার অঙ্কটা বেড়ে গিয়েছে। শেষ বার কুড়ি লক্ষ টাকা চাওয়া হয়েছে।’’ পুলিশ জানায়, সব দিক মাথায় রেখেই তদন্ত চলছে।