Advertisement
E-Paper

দলের দুর্নীতি নিয়ে জোড়া চিঠি

সম্প্রতি মেমারি ১ পঞ্চায়েত সমিতির নানা ‘দুর্নীতি’ ও তা রোখার আহ্বান জানিয়ে দলের জেলা সভাপতিকে চিঠি পাঠিয়েছেন সদস্যদের একাংশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০১৯ ০২:২৭
ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

‘কাটমানি-পোস্টার’ পড়েছে আগেই, এ বার দলের সদস্যেরাই পঞ্চায়েত সমিতির দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছেন।

সম্প্রতি মেমারি ১ পঞ্চায়েত সমিতির নানা ‘দুর্নীতি’ ও তা রোখার আহ্বান জানিয়ে দলের জেলা সভাপতিকে চিঠি পাঠিয়েছেন সদস্যদের একাংশ। ওই ব্লকের নেতাদের কার্যকলাপকে ‘একনায়কতন্ত্র’ আখ্যা দিয়ে যুব তৃণমূলের সভাপতির কাছে চিঠি পাঠিয়েছে ব্লক যুব তৃণমূলও। সংগঠনের সভাপতি নিত্যানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘‘কোনও পদ্ধতির তোয়াক্কা না করে অফিসারদের ভয় দেখিয়ে এক জন প্রভাবশালী ব্যক্তি সব কিছু চালাচ্ছেন এবং মানুষের মন থেকে দল, সরকারকে সরিয়ে দিচ্ছেন।’’ যদিও অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ মেমারি ১ ব্লক সভাপতি মধুসূদন ভট্টাচার্য। তাঁর দাবি, “এ বিষয়ে কিছু জানি না। তাই মন্তব্য করব না।’’

পঞ্চায়েত সমিতির পাঁচ সদস্যের সই করা চিঠিতে সরাসরি মেমারি ১ ব্লক সভাপতিকে আক্রমণ করা হয়েছে। অভিযোগ, প্রধান, উপপ্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহ-সভাপতি, কর্মাধ্যক্ষ পদ গঠনে দলের কোনও নিয়মনীতি মানেননি ব্লক সভাপতি। কারও সঙ্গে আলোচনাও করেননি। তাঁদের অভিযোগ, ‘গুটিকতক দালাল, ঠিকাদারের পরিবেষ্টিত হয়ে উনি দল পরিচালনা করছেন’। চিঠির পরের অনুচ্ছেদে অভিযোগ, ‘পঞ্চায়েত সমিতি ও পঞ্চায়েতের কাজ নিয়ে চরম বেনিয়ম চলছে। দরপত্র প্রক্রিয়া নিয়ে অরাজকতা চলছে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ, দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে পঞ্চায়েতে পুলিশ পাহারা রাখতে হচ্ছে’। এ নিয়ে সদস্যদের মধ্যে মতবিরোধ হচ্ছে। মানুষের মনে বিরূপ ধারণা দেখা দিচ্ছে বলেও চিঠিতে দাবি করেছেন তাঁরা।

পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সমীরণ মজুমদার, হরেকৃষ্ণ বৈরাগ্যদের অভিযোগ, “সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, পাঁচ লক্ষ টাকার বেশি কাজ হলে ই-টেন্ডার ডাকা বাধ্যতামূলক। সেই নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ওই কাজ দু’ভাগে ভাগ করে দেখানো হচ্ছে। ই-টেন্ডার না ডেকে মনমতো ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দেওয়া চলছে।’’ দ্রুত ই-টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করা ও ই-টেন্ডারের ঠিকাদারদের ‘সিকিওরিটি’ বাবদ টাকা জমা নেওয়ার দাবি তুলেছেন তাঁরা।

মেমারি ১ ব্লকে তৃণমূল ও যুব তৃণমূলের সংঘাত বহু দিনের। পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট বিলি নিয়ে মতান্তর ছিল। গত বারের পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তথা যুব সভাপতি নিত্যানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এ বারের কর্মাধ্যক্ষ না হওয়ার পিছনেও দ্বন্দ্বই রয়েছ, দাবি দলের একাংশের। এখন ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি নিয়ে ফের মাথা চাড়া দিয়েছে বিবাদ। যুব তৃণমূল সভাপতির কাছে লেখা চিঠিতে নিত্যানন্দবাবুর দাবি, ‘যে সংস্থা বা স্কুলের দায়িত্বে ব্লক সভাপতি আছেন, সেই সংস্থা বা স্কুলের হাল খারাপ হয়ে পড়ছে। খোঁজ নিলেই দেখতে পাবেন। আবার পঞ্চায়েত সমিতির উন্নয়নের বেশির ভাগ টাকা চলে যায় ব্লক সভাপতির অঞ্চল আমাদপুরে। তার পরেও লোকসভায় তিনি অঞ্চল ও বুথে হেরে যান’।

দলের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ বা যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুভাষ মণ্ডল দু’জনেই বলেন, ‘‘খোঁজ নিয়ে দেখব।’’

Corruption TMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy