Advertisement
E-Paper

আদর্শ গ্রাম তৈরি, উড়ালপুলের সম্ভাবনা ঘুরে দেখতে চান বাবুল

কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পরে রবিবারই প্রথম নিজের কেন্দ্রে পৌঁছলেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। আর নিজের কেন্দ্রে ফিরেই কাজে নেমে পড়ছেন তিনি। আজ, সোমবার বাবুল এলাকার বেশ কিছু প্রকল্পের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে বেরোবেন বলে জানা গিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০১৪ ০১:৩৮
রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে হাত মেলানোর আব্দার মেটাচ্ছেন বাবুল সুপ্রিয়। রবিবার আসানসোলের সিটি বাসস্ট্যান্ডের সামনে শৈলেন সরকারের তোলা ছবি।

রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে হাত মেলানোর আব্দার মেটাচ্ছেন বাবুল সুপ্রিয়। রবিবার আসানসোলের সিটি বাসস্ট্যান্ডের সামনে শৈলেন সরকারের তোলা ছবি।

কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পরে রবিবারই প্রথম নিজের কেন্দ্রে পৌঁছলেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। আর নিজের কেন্দ্রে ফিরেই কাজে নেমে পড়ছেন তিনি। আজ, সোমবার বাবুল এলাকার বেশ কিছু প্রকল্পের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে বেরোবেন বলে জানা গিয়েছে।

নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, নিজের কেন্দ্রে পাঁচটি গ্রামকে আদর্শ গ্রাম হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে বাবুলের। এ জন্য প্রাথমিক ভাবে জামুরিয়ার হিজলগড়া, পাণ্ডবেশ্বরের খোট্টাডিহি, রানিগঞ্জের নুপুর, বারাবনির দাসকেয়ারি ও সালানপুরের সিদাবাড়ি গ্রামরে বাছা হয়েছে। এ ছাড়া আসানসোলে কুমারপুরের কাছে জিটি রোডের উপরে ইস্কো রেললাইন, কোর্ট বাজারের কাছে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের লাইন ও রানিগঞ্জের রানিসায়েরের কাছে পূর্ব রেলের লাইনের উপরে তিনটি উড়ালপুল তৈরির পরিকল্পনাও বাবুলের রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তিনি বলেন, “এলাকার উন্নয়নের কথা ভেবে এই পরিকল্পনা নিয়েছি। সোমবার সব ক’টি জায়গা ঘুরে দেখব।”

রানিগঞ্জ ও জামুড়িয়া পুরসভা বাদ দিলে পরে আসানসোলের চারটি পঞ্চায়েত সমিতি, দু’টি পুরসভা ও পাঁচটি বিধানসভা আসন রয়েছে তৃণমূলের দখলে। তবে উন্নয়নের ব্যাপারে কোনও রাজনৈতিক বিরোধ না রাখার কথা সাংসদ হওয়ার পর থেকেই বলে এসেছেন বাবুল। এলাকার মানুষের নানা চাহিদা সাংসদকে জানিয়েছেন স্থানীয় বিজেপি নেতা-কর্মীরা। মন্ত্রী হওয়ার পরে তাই কয়েকটি প্রকল্প রূপায়ণে উদ্দ্যোগী হয়েছেন তিনি।

দিন পনেরো আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গ্রাম দত্তক নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। পিছিয়ে থাকতে চান না বাবুলও। যে গ্রামগুলিকে আদর্শ গ্রামের চেহারা দেওয়ার কথা ভেবেছেন তিনি, সব ক’টিতেই পানীয় জলের সঙ্কট, খারাপ রাস্তা, সেচের অভাব-সহ নানা পরিষেবা মেলে না বলে অভিযোগ রয়েছে। মন্ত্রীর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতিগুলির সভাপতিরা। সালানপুরের সভাপতি শ্যামল মজুমদার বলেন, “উনি এ নিয়ে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করলে আরও ভাল ফল মিলবে।” রানিগঞ্জের সেনাপতি মণ্ডল বলেন, “উদ্যোগ ভাল। তবে সেগুলি বাস্তবে রূপায়ণ হওয়া উচিত। আমাদের আলোচনায় ডাকলে যাব।” জামুড়িয়ার সান্ত্বনা মণ্ডলের অবশ্য দাবি, “উদ্যোগ ভাল। তবে যে গ্রামটি উনি বেছেছেন, সেটি উপযুক্ত নয়। আমাদের আলোচনায় ডাকলে আরও ভাল গ্রামের সন্ধান দিতে পারি।” আলোচনায় ডাকা হলে সহযোগিতার কথা জানান বারাবনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বুধন বাউড়ি।

রানিগঞ্জ শহরে চাপ কমাতে রানিসায়র মোড় থেকে মেজিয়া পর্যন্ত একটি রাস্তা গড়ার দাবি তুলেছিলেন বাসিন্দারা। কিন্তু এ ক্ষেত্রে রেললাইনের উপরে একটি উড়ালপুল দরকার। তা জানার পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছিলেন সাংসদ। এ বার তিনি সেই প্রকল্প নির্মাণে উদ্যোগী হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় শিল্পপতি রাজেন্দ্রপ্রসাদ খেতান বলেন, “এই উদ্যোগ সফল হলে রানিগঞ্জের যানজট থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। শহরে নিয়মিত দুর্ঘটনা বন্ধ হবে” কুমারপুর লাগোয়া জি টি রোডে ইস্কোর রেললাইন দিয়ে অনবরত মালগাড়ি যাতায়াত করে। দীর্ঘ সময় লেভেল ক্রসিং বন্ধ থাকায় জিটি রোডে যানজট হয়। আবার কোর্ট লাগোয়া রেললাইনের লেভেল ক্রসিংও বাসিন্দাদের কাছে আতঙ্কের হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই দুই জায়গায় বহুদিন ধরে উড়ালপুল তৈরির দাবি রয়েছে। সেই সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে বাবুল জায়গাগুলি পরিদর্শন করবেন বলে জানা গিয়েছে।

babul supriyo asansol
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy