পুড়ে ছাই খড়। নিজস্ব চিত্র।
ভস্মীভূত হয়ে গেল দুটি ধানের গোলা ও একটি খড়ের পালুই। রবিবার গভীর রাতে কালনা ২ ব্লকের আনুখাল পঞ্চায়েতের ঝোরবাটি গ্রামের ঘটনা। ওই তিন পরিবারের অভিযোগ, সবমিলিয়ে চার লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে তাঁদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ ঝোরবাটি গ্রামের বাসিন্দা আসরফ শাহ দেখতে পান, তাঁর খামারে রাখা তিন বিঘে জমির ধান দাউ দাউ করে জ্বলছে। আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করার আগেই সমস্ত ধান পুড়ে যায়। গ্রামে কিছুটা দূরেই রয়েছে আর এক চাষি বেচু শাহের বাড়ি। কিছুক্ষণের মধ্যে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে সেখানেও। বেচু শাহের অভিযোগ, আগুনের হলকায় ঘুম ভাঙতে তাঁরা দেখেন খামারে রাখা ৮ বিঘা জমির খড়ের পালুইয়ে আগুন ধরে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও দেখা যায়, বেশির ভাগ খড় পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।
ওই রাতেই আগুন ধরে যায় অকালপৌষ পঞ্চায়েতের নারেঙ্গা গ্রামের শহিদুল রহমান মুন্সির ধানের গোলায়। তাঁর দাবি, গভীর রাতে আচমকা ঘুম ভাঙলে তিনি দেখেন, সদ্য খামারে তুলে আনা ৩০ বিঘে জমির আমন ধানের কয়েকটি গাদায় আগুন ধরে গিয়েছে। প্রায় তিন লক্ষ টাকার ধান পুড়ে গিয়েছে বলেও তাঁর দাবি।
ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের আফশোস, ‘‘আলু চাষের মরসুমে এমনিতেই অনেক খরচ। ধান বিক্রি করে সার, খেতমজুরদের মজুরি-সহ চাষের বিভিন্ন খরচ মেটানো যেত। কিন্তু সব নষ্ট হয়ে গেল।’’ তাঁদের দাবি, দষ্কৃতীরাই এ কাজ করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এর আগেও এক রাতে একাধিক জায়গায় আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে ওই ব্লকে। বছর দুয়েক আগে কালনা ২ ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে ১২টি জায়গায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। কিছু দিন আগে মেমারির বাগিলা পঞ্চায়েতের একটি গ্রামেও এক মাস ধরে একাধিক জনের পালুইয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে এখনও পর্যন্ত ঘটনার সুরাহা করতে পারেনি পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy