Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

এএসআইয়ের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার আর্জি

কাটোয়া ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্য দিতে না আসায় কেতুগ্রাম থানার তত্‌কালীন এএসআই উজ্জ্বল দাসের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করলেন সরকারি আইনজীবী কাঞ্চন মুখোপাধ্যায়। তবে বৃহস্পতিবার ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে কোনও রায় দেন নি কাটোয়া আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক বিচারক পরেশচন্দ্র কর্মকার। গলসি থানার এক কনস্টেবল বিমান মণ্ডল সাক্ষ্য দেন এ দিন।

সৌমেন দত্ত
কাটোয়া শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০১৪ ০১:৫৩
Share: Save:

কাটোয়া ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্য দিতে না আসায় কেতুগ্রাম থানার তত্‌কালীন এএসআই উজ্জ্বল দাসের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করলেন সরকারি আইনজীবী কাঞ্চন মুখোপাধ্যায়। তবে বৃহস্পতিবার ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে কোনও রায় দেন নি কাটোয়া আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক বিচারক পরেশচন্দ্র কর্মকার। গলসি থানার এক কনস্টেবল বিমান মণ্ডল সাক্ষ্য দেন এ দিন।

বুধবার এই মামলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী দুই এসআই রাজীব ভট্টাচার্য ও স্বপন হাজরা ‘আইন-শৃঙ্খলা’র সমস্যা দেখিয়ে আদালতে হাজির হননি। আগেও আদালতের সমন পাঠানোর পরেও ওই দুই সাক্ষী সাক্ষ্য দিতে না আসায় কাঞ্চনবাবু বিচারকের কাছে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার জন্য আবেদন করেন। এ দিন আবার উজ্জ্বলবাবু সাক্ষ্য দিতে আসেননি বলে কাঞ্চনবাবু আদালতকে জানান, ওই সাক্ষী বারবার আদালতে উপস্থিত হচ্ছেন না। ফলে মামলা পিছিয়ে যাচ্ছে। অভিযুক্তদের অন্যতম আইনজীবী ধীরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, বুধবার ওই দুই সাক্ষী আদালতে উপস্থিত হতে পারেন নি কেন, তাঁর একটা কারণ অন্তত দেখিয়েছিলেন। কিন্তু উজ্জ্বলবাবু কোনও কারণ না দেখিয়েই সাক্ষ্য দিতে এলেন না। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কেতুগ্রাম থানার ওই এএসআই এখন গলসি থানায় রয়েছেন।

গলসি থানারই এক কনস্টেবল বিমান মণ্ডল এ দিন আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে জানান, কেতুগ্রাম থানায় থাকার সময়ে ধর্ষণ ও ডাকাতির ঘটনায় তদন্তকারী অফিসার জয়জিত্‌ লোধ তাঁর সামনে একটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেন। তিনি আদালতে ওই মোবাইল ফোনটি শনাক্ত করেন। কাটোয়া ধর্ষণ মামলার এই পর্বেই প্রথম তদন্তকারী অফিসার কাটোয়া জিআরপির তত্‌কালীন ওসি তুষার সর্দার, মূল তদন্তকারী অফিসার জয়জিত্‌ লোধ ও কেতুগ্রামের আইসি আব্দুল গফফরের সাক্ষ্য দেওয়ার কথা। আজ, শুক্রবার কাটোয়া-আমোদপুর ন্যারোগেজ লাইনের অম্বলগ্রাম স্টেশন মাস্টার (বর্তমানে ওই লাইনে ব্রডগেজ কাজ চলায় স্টেশনটির অস্তিত্ব নেই) অসীম মুখোপাধ্যায় ও কাটোয়া জিআরপির এসআই স্বপনকুমার দে-র সাক্ষ্য দেওয়ার কথা।

২০১২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি কাটোয়া-আমোদপুর ন্যারোগেজ লাইনের ট্রেনে মেয়ের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে এক বিধবা মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগের মামলা চলছে এই আদালতে। অভিযোগকারিণী ও তাঁর মেয়ে অভিযুক্তদের শনাক্ত করেছেন। অভিযুক্তদের মধ্যে দু’জন পথ দুর্ঘটনায় মৃত। বাকি ছয় অভিযুক্তদের মধ্যে চার জন জেল হেফাজতে রয়েছেন। একজন জামিনে ছাড়া রয়েছেন। আর এক অভিযুক্ত কায়েশ শেখ এখনও অধরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

asi katoa rape case katoa soumen dutta
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE