Advertisement
E-Paper

খুনের অভিযোগ তুলতে কোর্টে আর্জি মৃতের ছেলের

সংঘর্ষের সময়ে তৃণমূলের লোকজনের হাতে মার খেয়ে বাবার মৃত্যু হয়েছে— ন’দিন আগে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন জামুড়িয়ার বাগডিহা গ্রামের সুরেশ বাউরি। বুধবার তিনিই খুনের অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য আবেদন জানালেন আসানসোল আদালতে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ১৭ অগস্ট খেতমজুর ও জমিমালিকদের মধ্যে মজুরি বাড়ানো নিয়ে বিবাদে সংঘর্ষ বেধেছিল ওই গ্রামে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০১৫ ০১:৪৭

সংঘর্ষের সময়ে তৃণমূলের লোকজনের হাতে মার খেয়ে বাবার মৃত্যু হয়েছে— ন’দিন আগে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন জামুড়িয়ার বাগডিহা গ্রামের সুরেশ বাউরি। বুধবার তিনিই খুনের অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য আবেদন জানালেন আসানসোল আদালতে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ১৭ অগস্ট খেতমজুর ও জমিমালিকদের মধ্যে মজুরি বাড়ানো নিয়ে বিবাদে সংঘর্ষ বেধেছিল ওই গ্রামে। সেই সময়ে বৃদ্ধ খেতমজুর হিরালাল বাউরির মৃত্যু হয়। তাঁর ছেলে সুরেশ জামুড়িয়ার কেন্দা ফাঁড়িতে সুকুমার ভট্টাচার্য, দীনেশ চক্রবর্তী-সহ এক দল স্থানীয় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকের বিরুদ্ধে প্ররোচনা দিয়ে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু এ দিন আসানসোল আদালতে জমা দেওয়া আবেদনে তিনি দাবি করেছেন, তাঁর বাবা দীর্ঘ দিন ধরে প্যারালাইসিসে আক্রান্ত ছিলেন। সে দিন গ্রামে দু’পক্ষের গোলমাল চলাকালীন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়।

সুরেশ দাবি করেন, ‘‘বাবার মৃত্যুর পরে তাঁকে প্রতিবেশীদের সাহায্যে আসানসোল হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে কেউ আমাকে একটি সাদা কাগজে সই করিয়ে নেয়। পরে জানতে পারি, পরিচিত কয়েক জনের নামে বাবাকে খুনের অভিযোগ করা হয়েছে। তা জেনে খুব দুঃখ পেয়েছি। আমি চাই, এ নিয়ে অহেতুক কাউকে যেন না জড়ানো হয়।’’

অভিযুক্তদের আইনজীবী শান্তানু চক্রবর্তী জানান, এসিজিএম আদালত এ দিন এই আবেদন নেওয়ার পর কেন্দা ফাঁড়িকে দ্রুত সিডি জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। অভিযোগে নাম থাকা স্থানীয় তৃণমূল নেতা সুকুমারবাবু বলেন, “আমি সে দিন খবর পেয়ে ওই গ্রামে গিয়েছিলাম সংঘর্ষ থামাতে। পুলিশকে আমিই খবর পাঠাই। তার পরে আমাদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ হয়েছে শুনে খারাপ লেগেছিল। মৃতের ছেলের এই স্বীকারোক্তির পরে সুবিচারের আশা করছি।’’ পুলিশ জানায়, পদ্ধতি মেনে তদন্ত করে আদালতে সিডি জমা দেওয়া হবে।

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy