ঠিকা শ্রমিকদের প্রতারণা করে পরোক্ষে খনি শিল্পকে বেসরকারি হাতে তুলে দিতে চাইছে তৃণমূল, বৃহস্পতিবার রানিগঞ্জের কয়লা ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই অভিযোগ করল সিটু অনুমোদিত খনিকর্মী সংগঠন কোলায়ারি মজদুর সভা অব ইন্ডিয়া (সিএমএসআই)। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বামফ্রন্ট প্রার্থী বংশগোপাল চৌধুরী। এ দিন বংশগোপালবাবু অভিযোগ করেন, “তৃণমূল মালিকশ্রেণির পক্ষ নিয়ে শ্রমিক আন্দোলন ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এর ফলে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন ঠিকা শ্রমিকেরা।”
সিএমএসআই নেতা নবকুমার মিশ্র অভিযোগ করেন, কেন্দ্র সরকার ঠিকা শ্রমিকদের জন্য নির্ধারিত দৈনিক নূন্যতম মজুরী ৪৬৫ টাকা ধার্য করলেও সেটি ইসিএলের খনিগুলিতে এখনও চালু করা হয়নি। তাঁর আরও অভিযোগ, খনির নিচে কোনও নিরাপত্তা নেই। খনিকর্মীদের সঠিক সময়ে পেনশন চালুতে সমস্যা হচ্ছে। সিএমএসআইয়ের দাবি, ইসিএলের ২৬টি কোলিয়াড়িতে সাসপেনশন অব ওর্য়াক নোটিস ঝুলিয়ে সেগুলি বন্ধ করার পরিকল্পনা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পরে সেগুলি বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে যে সব কর্মী কাজ করতে আসছেন তাঁদের পিএফ, মেডিক্যাল-সহ কোনও সুবিধাই মিলছে না। এ দিনই ইসিএলে শ্রমিকদের অবস্থা, খনি শ্রমিক আন্দোলনে সিটুর ভূমিকা ও সাংসদ হিসেবে বংশগোপাল চৌধুরীর কাজ নিয়ে একটি প্রচার পুস্তিকা প্রকাশ করে সিএমএসআই।
যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের খনিকর্মী সংগঠন কেকেএসসি র নেতা নরেন চক্রবর্তী বলেন, “ঠিকা শ্রমিকদের নিয়ে জোরালো আন্দোলন গড়ে না তুলে সিপিএমই কর্তৃপক্ষের হয়ে কাজ করেছে। আসানসোল কেন্দ্রে আমাদের প্রার্থী দোলা সেন প্রচারের শুরুতেই পুরো বিষয়টি শ্রমিকদের সামনে তুলে ধরছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy