Advertisement
E-Paper

গণ্ডগোলের আশঙ্কায় বাতিল নিয়োগের পরীক্ষা, বিক্ষোভ

শেষ মুহুর্তে পরীক্ষা বাতিল হয়ে যাওয়ায় বিক্ষোভ দেখালেন নিয়োগপ্রার্থীরা। রাষ্ট্রায়ত্ত জীবনবিমা সংস্থার আসানসোল ডিভিশনের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল রবিবার। কিন্তু, পরীক্ষা গ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁছে প্রার্থীরা জানতে পারেন, এ দিন তা হবে না।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০১৪ ০১:৩৪
বিমা সংস্থার পরীক্ষা না হওয়ায় বিক্ষোভ।

বিমা সংস্থার পরীক্ষা না হওয়ায় বিক্ষোভ।

শেষ মুহুর্তে পরীক্ষা বাতিল হয়ে যাওয়ায় বিক্ষোভ দেখালেন নিয়োগপ্রার্থীরা। রাষ্ট্রায়ত্ত জীবনবিমা সংস্থার আসানসোল ডিভিশনের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল রবিবার। কিন্তু, পরীক্ষা গ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁছে প্রার্থীরা জানতে পারেন, এ দিন তা হবে না।

সংস্থার আসানসোল ডিভিশনের আধিকারিক জ্যোতির্ময় বরাট বলেন, “যে কলেজে পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল, সেই কলেজ কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা পরিচালনা করতে চাননি। তাই পরীক্ষা বাতিল করতে হয়েছে।” তিনি জানান, শনিবার সন্ধ্যায় কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। তাই তাঁরা পরীক্ষা পরিচালনা করতে পারবেন না। এর পরেও সংস্থার তরফে পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থা রেখে রবিবার কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে ফের পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ অনড় থাকেন। পরীক্ষা কেন্দ্রে এসেও ফিরে যেতে বাধ্য হন পরীক্ষার্থীরা।

ওই কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অমলেশ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, “আমরা হঠাৎ জানতে পারি, এই নিয়োগকে কেন্দ্র করে এক দল লোক কয়েক দিন ধরে বিমা সংস্থার অফিসে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। সংস্থার আধিকারিকেরা সে কথা আমাদের কাছে গোপন করেছেন। আমরা এই খবরও পাই, পরীক্ষা চলাকালীন ওই বিক্ষোভকারীরা কলেজেও বিক্ষোভ দেখাতে পারেন। সেক্ষেত্রে কলেজে কোনও সম্পত্তির ক্ষতি হতে পারে, এই আশঙ্কায় তড়িঘড়ি পরিচালন সমিতির বৈঠক ডেকে পরীক্ষা পরিচালনা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শনিবার ওই সংস্থাকে তা জানিয়েও দিয়েছি।” যে সিদ্ধান্তে এত জন চাকরিপ্রার্থী বিপাকে পড়লেন, তা কতটা যুক্তিযুক্ত? অমলেশবাবুর দাবি, তাঁদের কাছে কলেজের সম্পত্তি রক্ষা করা বেশি জরুরি।

গত সপ্তাহখানেক ধরে স্থায়ীকরণের দাবিতে ওই বিমা সংস্থার কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ৬২ জন অস্থায়ী কর্মী। আইএনটিটিইউসি-র পতাকা, ফেস্টুন নিয়ে সেই কর্মসূচি চলছে। তার জেরে কার্যালয়ে ঢুকতে পারছেন না কর্মী-আধিকারিকেরা। ব্যাহত হচ্ছে কাজ। যদিও সংস্থার তরফে সাফ জানানো হয়েছে, যে যোগ্যতার মানদণ্ডে অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণ হয়, বিক্ষোভকারীদের তা নেই। কিন্তু এই যুক্তি মানতে রাজি নন তাঁরা। শনিবার দু’পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেন উপ-শ্রম কমিশনার। সেখানেও কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি। এর পরে এ দিন ওই কলেজ কর্তৃপক্ষের উপরে চাপ সৃষ্টি করেই পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া হল বলে বিমা সংস্থার কর্তাদের একাংশের ধারণা। কলেজ কর্তৃপক্ষ যদিও কোনও চাপের কথা মানেননি।

life insurance exam asansol division
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy