Advertisement
১৭ মে ২০২৪

ঘুষ চেয়ে হাতেনাতে ধৃত আধিকারিক-সহ দু’জন

এক লরি চালকের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে পুলিশ সেলস ট্যাক্স দফতরের এক আধিকারিক ও এক ক্লার্ককে গ্রেফতার করেছে। শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্গাপুরের কোকওভেন থানা এলাকায় মুচিপাড়ার কাছে। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম চারুকেশ ভট্টাচার্য ও গৌতম রায়। রবিবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে চার দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

আদালতের পথে দুই ধৃত। নিজস্ব চিত্র।

আদালতের পথে দুই ধৃত। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৪ ০১:৪৫
Share: Save:

এক লরি চালকের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে পুলিশ সেলস ট্যাক্স দফতরের এক আধিকারিক ও এক ক্লার্ককে গ্রেফতার করেছে। শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্গাপুরের কোকওভেন থানা এলাকায় মুচিপাড়ার কাছে। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম চারুকেশ ভট্টাচার্য ও গৌতম রায়। রবিবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে চার দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেলে বর্ধমানের এক বাসিন্দা আবদুল হাসান জেলাশাসক সৌমিত্র মোহনের কাছে অভিযোগ করেন, দুর্গাপুরের মুচিপাড়ার কাছে তাঁর লরিটি আটকে ঘুষ দাবি করছেন সেলস ট্যাক্স দফতরের লোকজন। লরিটি বর্ধমান থেকে ইনগট আয়রন বোঝাই করে জাতীয় সড়ক ধরে আসানসোলের দিকে যাচ্ছিল। জেলাশাসক বিষয়টি আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটকে জানান। জেলাশাসকের কাছে বার্তা পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন সাদা পোশাকের কয়েক জন পুলিশকর্মী। পুলিশের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, চালক ঘুষ দিতে অস্বীকার করায় অভিযুক্তেরা লরিটিকে মুচিপাড়ায় সেলস ট্যাক্সের কার্যালয়ে নিয়ে যায়। সাধারণ পোশাকের পুলিশকর্মীরা সেখানে পৌঁছন। নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে লরি মালিকের পক্ষে তাঁরাই ঘুষের পরিমাণ কী হবে তা নিয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে দরাদরি শুরু করেন। অভিযুক্তেরা পুলিশকর্মীদের চিনতে পারেননি। তাঁরা ফাঁদে পা দেন। পুরো ঘটনাটি গোপনে ক্যামেরাবন্দি করার ব্যবস্থাও করে রেখেছিল পুলিশ।

পুলিশ জানায়, দু’জনকে আটক করে প্রথমে কোকওভেন থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পৌঁছন ওই দফতরের ভিজিল্যান্স বিভাগের কর্মীরা। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জেরায় বহু অসঙ্গতি মেলে বলে পুলিশ সূত্রের দাবি। রাতেই অভিযুক্ত দুর্গাপুরের ডেপুটি ট্যাক্স কমিশনার চারুকেশবাবু এবং ওই দফতরের ক্লার্ক গৌতমবাবুকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশের একটি সূত্রেক দাবি, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, শুধু এই দু’জন নন, একটি চক্র এ ভাবে অন্যত্রও সক্রিয় রয়েছে। ধৃতদের জেরা করে চক্রের সঙ্গে জড়িত বাকিদের খোঁজখবর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সেলস ট্যাক্স দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিজিল্যান্স বিভাগ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এডিসিপি (পূর্ব) সুনীল যাদব বলেন, “ঘুষ নেওয়ার সময়ে হাতেনাতে দুজনকে ধরা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে আগে কোনও অভিযোগ আছে কি না, তাঁদের ব্যক্তিগত সম্পত্তির পরিমাণ তদন্ত করে দেখা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE