Advertisement
১৭ মে ২০২৪

ছাত্রীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে সহবাসের অভিযোগ উঠল মন্তেশ্বরের পাতুন গ্রামে। অন্তঃসত্ত্বা ওই ছাত্রীর অভিযোগ, এ বিষয়ে মন্তেশ্বর থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে এক পুলিশ আধিকারিক অভিযোগ না নিয়ে মীমাংসা করার কথা বলেন। বাধ্য হয়ে মন্তেশ্বর থানার ওসি-সহ পুলিশের বিভিন্ন আধিকারিককে ডাক মারফত লিখিত অভিযোগ জানান ওই ছাত্রীর বাবা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কালনা শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৪ ০১:০৪
Share: Save:

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে সহবাসের অভিযোগ উঠল মন্তেশ্বরের পাতুন গ্রামে। অন্তঃসত্ত্বা ওই ছাত্রীর অভিযোগ, এ বিষয়ে মন্তেশ্বর থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে এক পুলিশ আধিকারিক অভিযোগ না নিয়ে মীমাংসা করার কথা বলেন। বাধ্য হয়ে মন্তেশ্বর থানার ওসি-সহ পুলিশের বিভিন্ন আধিকারিককে ডাক মারফত লিখিত অভিযোগ জানান ওই ছাত্রীর বাবা।

দু’পাতার অভিযোগপত্রে পেশায় খেতমজুর, ওই ছাত্রীর বাবা জানান, তাঁর মেয়ে এলাকারই দিব্যেন্দু গণের কাছ টিউশন পড়ত। বিএ দ্বিতীয় বর্ষ পর্যন্ত পড়াশোনা করা দিব্যেন্দু তাঁর মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাবও দেয়। সেই মতো ১৪২০ সালের ১৫ পৌষ দক্ষিণেশ্বরে নিয়ে গিয়ে মেয়েকে বিয়েও করে সে। পরে বিয়ে হয়ে গিয়েছে দাবি করে একাধিকবার সহবাসও করে। মেয়েটি এখন তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ওই ছাত্রীর বাবার দাবি, মেয়ের সরলতার সুযোগ নিয়ে তাকে পরিকল্পিত ভাবে ধর্ষণ করে ওই যুবক। এমনকী সন্তান নষ্ট করে দেওয়ার জন্য বারবার চাপ দেয়। পরে এলাকায় ঘটনার কথা জানাজানি হলে ১৪২১ সালের ৭ বৈশাখ তাঁর মেয়েকে দিব্যেন্দু তাড়িয়ে দেয় বলেও তাঁর অভিযোগ।

ওই দিনই থানায় অভিযোগ জমা দিতে গেলে এক পুলিশ আধিকারিক অভিযোগ জমা নিতে চাননি বলে তাঁর দাবি। উল্টে মীমাংসা করার কথা জানায়। বুধবার অন্তঃসত্ত্বা ওই কিশোরী বলে, “ওর কথায় বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিলাম। বাবা মন্তেশ্বর থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করেছিল। সেটা জানার দিন দুয়েক পরেই ফোন করে মা-বাবাকে জানিয়ে দিই আমরা বিয়ে করেছি। প্রথম কয়েকমাস কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় থাকার পরে সম্প্রতি দিব্যেন্দু জানতে পারে, আমি অন্তঃসত্ত্বা। এরপরেই সন্তান নষ্ট করার জন্য চাপ দিতে থাকে।” ওই কিশোরী জানায়, তাকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে দিব্যেন্দু এলাকা ছেড়ে পালায়।

ওই ছাত্রীর আইনজীবী পার্থসারথী কর বলেন, “ডাক মারফত মন্তেশ্বর থানায় যে অভিযোগ পাঠানো হয়েছে তার ভিত্তিতে পুলিশ মামলা না করলে আদালতের দ্বারস্থ হব।” পুলিশ অবশ্য কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ না নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। কালনার এসডিপিও ইন্দ্রজিৎ সরকার জানান, অভিযোগ জমা দিতে এসেছেন অথচ থানা তা নেয়নি, এমনটা ঘটেনি। ডাকযোগে মন্তেশ্বর থানায় অভিযোগপত্র পৌঁছলেও পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

promises of marriage live together
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE