Advertisement
E-Paper

জমি নিয়ে বিবাদে সংঘর্ষ-বোমাবাজি, জখম চার কালনায়

জমি বিবাদের জেরে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে অশান্ত হয়ে উঠল কালনা-১ ব্লকের নতুনচর গ্রাম। চলল দেদার বোমাবাজি। আহত হলেন চার জন। সোমবার সকালের এই ঘটনায় একে অপরের দিকে অভিযোগ করেছে তৃণমূল ও বিজেপি। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। রাত পর্যন্ত অবশ্য কেউ গ্রেফতার হয়নি। কালনার মহকুমাশাসক সব্যসাচী ঘোষ বলেন, “নতুনচর গ্রামের স্কুলের জমি দখল নিয়ে গ্রামবাসীদের যে অভিযোগ জমা পড়েছে তা নিয়ে ব্লক প্রশাসনকে একটি রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।”

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০১৪ ০১:১৯
কালনা হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র।

কালনা হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র।

জমি বিবাদের জেরে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে অশান্ত হয়ে উঠল কালনা-১ ব্লকের নতুনচর গ্রাম। চলল দেদার বোমাবাজি। আহত হলেন চার জন। সোমবার সকালের এই ঘটনায় একে অপরের দিকে অভিযোগ করেছে তৃণমূল ও বিজেপি। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। রাত পর্যন্ত অবশ্য কেউ গ্রেফতার হয়নি।

কালনার মহকুমাশাসক সব্যসাচী ঘোষ বলেন, “নতুনচর গ্রামের স্কুলের জমি দখল নিয়ে গ্রামবাসীদের যে অভিযোগ জমা পড়েছে তা নিয়ে ব্লক প্রশাসনকে একটি রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।”

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে কয়েকজন গ্রামবাসী যখন একশো দিনের কাজ করতে যাচ্ছিলেন তখন তাদের পথ আটকায় কয়েক জন। তারপরেই শুরু হয় বোমাবাজি। আহত হন মুজিবর শেখ, মইনুদ্দিন শেখ, আলতাব শেখ ও কালো শেখ নামে চার জন। এরমধ্যে মুজিবর ও মইনুদ্দিনকে কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের দলীয় কর্মী বলে দাবি করে তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, গ্রামের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামরে কিছুটা জমি জোর করে দখলের চেষ্টা করছেন পশ্চিমপাড়ার এক বিজেপি সমর্থক। এই বিষয়টির প্রতিবাদ জানিয়ে তাঁরা মহকুমাশাসকের দফতরে স্মারকলিপি জমা দেন। সেই রাগেই এই হামলা। স্থানীয় তৃণমূল নেতা সালাম শেখের দাবি, “যিনি স্কুলের জমি দখল করে রেখেছেন তাঁকে কিছুটা জমি দিয়ে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছিল। জমির বিষয়টি নিয়ে এ দিন একটি বৈঠক ছিল। তার আগেই পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়।” এই ঘটনায় ২০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূল।

বিজেপি অবশ্য তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কালনা শহরের বিজেপি নেতা সুশান্ত পান্ডের দাবি, “যে তৃণমূল নেতা আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তার বিরুদ্ধেই প্রচুর অভিযোগ রয়েছে। এ দিন তৃণমূলের লোকেরাই আমাদের আটকে অশান্তি তৈরি করেছে। বোমাবাজির ঘটনায় আমাদের কেউ জড়িত নয়।”

নতুনগ্রাম প্রাথমিক স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, সংখ্যালঘু উন্নয়ন তহবিলের টাকায় স্কুলে একটি ঘর তৈরির জন্য সম্প্রতি ইট ও সিমেন্ট কেনা হয়েছে। তারপর থেকেই জমি নিয়ে বিবাদ শুরু হয়। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুজয় কুমার সিংহ বলেন, “সোমবার অভিভাবকদের নিয়ে ডাকা উন্নয়নমূলক বৈঠক ডাকা হয়েছিল। কিন্তু গ্রামে কয়েকবার বোমাবাজির ফলে সেই বৈঠক ভেস্তে যায় তিনি জানান, স্কুলের পরিস্থিতির কথা ঊর্ব্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

kalna hospital bombing land dispute clash over land dispute kalna
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy